প্রতিদিনের ডেস্ক
ক্রাইস্টচার্চে জয়ের জন্য ২৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর একে একে উইকেট হারাতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়। স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন এবং ক্যামেরন গ্রিন- এই চার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে ৩৪ রানের মধ্যে হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। জয় তো তখন অনেক দুরের ব্যাপার। এমন মুহূর্তে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারে। এ দু’জনের জুটির আগে নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকেন ট্রাভিস হেড। মিচেল মার্শের সঙ্গে হেড জুটি গড়েন ৪৬ রানের। এরপর ১৪০ রানের জুটি গড়েন মিচেল মার্শ এবং অ্যালেক্স ক্যারে। তাদের এই জুটিই নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দেয়। ৩ উইকেটের জয় এনে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। ১০২ বল খেলে ৮০ রান করে আউট হন মিচেল মার্শ। ১২৩ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে যান অ্যালেক্স ক্যারে। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে না পারলেও দলকে জয় এনে দেয়ার দারুণ অনুভূতি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। শেষ মুহূর্তে মিচেল স্টার্ক শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেও প্যাট কামিন্স দৃঢ়তা দেখিয়ে দলকে জয় উপহার দেন। ৪৪ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন কামিন্স। ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৫৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কেন উইলিয়ামসন, রাচিন রাবিন্দ্রা এবং ড্যারিল মিচেলের তিনটি হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৩৭২ রান। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৭৯ রানের লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে ৬৫ ওভার খেলতে হয় তাদেরকে এবং হারাতে হয় ৭ উইকেট। তবে ২ ম্যাচের সিরিজটি ২-০ ব্যবধানে জয় করে নিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে ঘরে ফিরছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।