প্রতিদিনের ডেস্ক:
আল আইনের বিপক্ষে ১২০ মিনিটের খেলায় আল নাসর এগিয়ে ছিল ৪-৩ ব্যবধানে। একক ম্যাচের হিসেবে এই ফলাফল তো জয়েরই। কিন্তু আল নাসরের কপাল তো পুড়েছে আগেই। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টাল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম লেগের খেলায় আল নাসর যে হেরেছিল ১-০ গোলে!
এই ম্যাচে আল নাসর ৪-৩ গোলে এগিয়ে থাকলেও দুই লেগ মিলিয়ে ফলাফল তখন ৪-৪ সমতা। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের দল বের করে আনতে দেওয়া হয় টাইব্রেকার। সেই টাইব্রেকারে ৩-১ ব্যবধানে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় আল নাসর।
প্রথম লেগের এক গোলের অভাব অবশ্য নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ৩-২ গোলে এগিয়ে গিয়ে পরিশোধ করেছিল ক্রিশিয়ানো রোনালদোর আল নাসর। তখন দুই লেগ মিলিয়ে খেলার ফলাফল ৩-৩ হওয়ার কারণে অতিরিক্ত আর ৩০ মিনিট খেলা পরিচালনা করেন রেফারি।অতিরিক্ত সময়ে ১০৩ মিনিটে গোল হজম করে (৩-৩) বসে আল নাসর। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তখন হারের শঙ্কায় রোনালদোর দল। শেষ মুহূর্তে পাওয়া (১১৮ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে গোল (৪-৩) করলেন রোনালদো। ফলে টিকে থাকলো আল নাসরের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতা থাকার কারণে কোয়ার্টার ফাইনালের দল নিশ্চিত করতে টাইব্রেকারের বাঁশি বাজান রেফারি। আর সেই টাইব্রেকারে হেরেই বসে আল নাসর।প্রথম ৪ শটে একমাত্র রোনালদো ছাড়া বাকি তিনটি শটই মিস করে আল নাসর। অপরদিকে প্রথম তিন শটের তিনটিতেই গোল করে আল আইন। ফলে পেনাল্টিতে ৩-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আল আইন।
গতকাল রোববার ঘরের মাঠে আল নাসরের হয়ে গোল করেন আব্দুর রহমান গারিব (৪৫+৫ মিনিটে), আত্মঘাতী গোল (৫১ মিনিটে আল আইনের খেলোয়াড় খালিদ ইসার ভুলে), অ্যালেক্স টেলেস (৭২ মিনিটে) ও রোনালদো (১১৮ মিনিটে)।অপরদিকে আল আইনের হয়ে জোড়া গোল করেন সুফিয়ান রাহিমি (২৮ ও ৪৫ মিনিটে) ও সুলতান আল শামসি (১০৩ মিনিটে)।
ম্যাচের ৯৮ মিনিটে লালকার্ড দেখেন আল নাসরের তারকা আইমান ইয়াহিয়া। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আল নাসর। বাকি ২২ মিনিট ব্যাকফুটে থেকে লড়াই করতে হয়েছিল রোনালদোর দলকে। তবে শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি ভাগ্য সহায় না হওয়ার বাদই পড়তে হলো আল নাসরকে।