২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের দক্ষতার ছোঁয়ায় পূর্ণতা পাচ্ছে এমএম কলেজের অসমাপ্ত সব কাজ

খন্দকার রুবাইয়া
সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের গ্রন্থাগারে নতুনত্বের ছোঁয়ায় বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এই নতুনত্বের রুপাকার সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত নতুনত্বের ছোঁয়ায় পূর্ণতা পাচ্ছে কলেজের দীর্ঘদিনের অসমাপ্ত কাজ। কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি সম্পূর্ণ সমৃদ্ধ এবং কোলাহলমুক্ত লাইব্রেরি। সেই দাবি পূরণে, দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কলেজের অধ্যক্ষ প্রশাসনিক ভবনের সাথে মনোরম পরিবেশে গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরিটি। এখানে পাঠ্যবই, চাকুরির বই, গল্প, কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি, কাব্যগ্রন্থসহ বিভিন্ন ধরণের বই রয়েছে। আলমারিতে সুসজ্জিতভাবে সাজানো আছে বই, বসার জন্য নির্দিষ্ট ডেস্ক, কোলাহলমুক্ত পরিবেশ শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগী করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করার জন্য গ্রন্থাগারের একপাশে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, অন্যপাশে রাখা হয়েছে মাইকেল কর্ণার। তাছাড়া অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় জীবনের লক্ষ্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, এসব শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে ক্যাউন্সিলিং করার জন্য গ্রন্থাগারের একপাশে রাখা হয়ে ক্যাউন্সিলিং সেল। গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের পড়ার সুব্যাবস্থা করা হয়েছে। গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আক্তার হোসেন বলেন, গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক বই পড়ার পাশাপাশি চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা রাখা হয়। তাছাড়া গ্রন্থাগারের পিছন সাইড বর্ধিত করাই অনেক পুরাতন বই বর্তমানে নতুন করে বাধাই করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বইসহ এখানে প্রতিটি বিভাগের কোর্স সম্বলিত বই সংরক্ষিত আছে। গ্রন্থাগারের একপাশে করা হয়েছে ওয়াইফাই জোন।তাছাড়া ভবিষ্যতে অনলাইনের সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা আছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়