২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ঝিকরগাছায় ছাত্রীকে তালাকের প্ররোচনায় বরখাস্ত হওয়া প্রভাষকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

এমামুল হাসান সবুজ, ঝিকরগাছা
যশোরের ঝিকরগাছায় ছাত্রীকে তার স্বামীর সাথে তালাকের প্ররোচনায় বরখাস্ত হওয়া প্রভাষক নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। একটি ঘটনা ফাঁস হওয়ায় এখন ওই প্রভাষকের কু-কর্মের একাধিক ঘটনা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। জানাগেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিয়ুর রহমান কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক নিয়াজ মোর্শেদ একই কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে তার স¦ামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের প্ররোচনা দেয়। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমানিল্য হওয়ায় প্রেমজ সম্পর্কে বিবাহ হওয়া ওই ছাত্রী তার স্বামীকে তালাক দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর স্বামী পৌর সদরের মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা দিপু ইসলাম তার স্ত্রীকে তালাকের প্ররোচনার অভিযোগ এনে প্রভাষক নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজে শিক্ষক কাউন্সিলের সভায় ৭সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনসহ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদিকে এই ঘটনা দৈনিক লোকসমাজসহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হলে প্রভাষকের বিরুদ্ধে একাধিক কু-কর্মের অভিযোগ ফুটে উঠেছে। দিপু ইসলাম জানিয়েছেন, সম্প্রতি তার স্ত্রীর এক ননমুসলিম বান্ধবী কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ইজিবাইকে উঠলে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে প্রভাষক নিয়াজ মোর্শেদ তার সাথে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ফোন দেয়। যা পরে জানাজানি হলে প্রবাসীর স্ত্রী ওই শিক্ষার্থীর স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের উপক্রম হয়ে যায়। এছাড়া গত দুই বছরপূর্বে পিকনিকে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর উড়না ধরে টান দেয়ার অভিযোগে প্রভাষক নিয়াজ মোর্শেদ একই কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছিলেন বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন। এদিকে একের পর এক নিয়াজ মোর্শেদের করা এসব ঘটনা বেরিয়ে পড়ায় তিনি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তবে নিয়াজ মোর্শেদের করা পূর্বের কু-কর্মের শুষ্ঠু বিচার হলে নতুন এসব ঘটনার জন্ম হোতনা বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক সুত্র জানিয়েছেন। অভিযুক্ত নিয়াজ মোর্শেদের নিকট জানতে চাইলে ঘটনাটি সঠিক নয় দাব করেন এবং কলেজের (শিক্ষক) নিজেদের অভ্যন্তরিন কোন্দলে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন। ইতিমধ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত করেছেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হয়নি বলেও জানান তিনি। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, বর্তমানে ওই প্রভাষক সাময়িক ভাবে বরখাস্ত রয়েছে। তদন্ত শেষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়