২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

পরীক্ষায় নকল ধরবে ‘সুরক্ষা’ যন্ত্র

প্রতিদিনের ডেস্ক;
পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারসহ জালিয়াতি প্রতিরোধে যন্ত্র আবিস্কার করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বুয়েটের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিনিকেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এই যন্ত্র অবিস্কার করেছে।কোনো পরীক্ষার্থী জালিয়াতির উদ্দেশ্যে কানের ভিতরে ডিজিটাল ডিভাইস রাখলে এই যন্ত্র তার সন্ধান দেবে। যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুরক্ষা’। আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হবে, ওই পরীক্ষা থেকেই নকল ধরতে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ তিনি জানান, জালিয়াতির ডিভাইস কোন পরীক্ষার্থীর কানে ঢোকানো হলে অথবা কোন পরীক্ষার্থী ওই ধরনের ডিভাইস কানে রেখে থাকলে বুয়েট কর্তৃক উদ্ভাবিত যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি প্রতিরোধে যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসিকে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ যন্ত্র তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। পরে বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা হলে দাম পড়বে ৫ হাজার ৫০০ টাকা।ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা থেকেই এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় ২৫টি যন্ত্র দিয়ে ৫টি টিম করে কেন্দ্রগুলোতে এই যন্ত্রের পাইলটিং করা হবে।কোন কোনো জেলায় ব্যবহার করা হবে? সাংবাদিকের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার্থী বেশি এমন ৫টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ। এই জেলাগুলোতে আমরা পাইলটিং করবো। শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নয়, সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তরের পাবলিক পরীক্ষা যারা নেয় তারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন।তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ হাজার ২০১টি পদের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। মৌখিক পরীক্ষা সম্ভব্য তারিখ ৫ থেকে ২০ মে। আর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ দুটিতে অন্যান্য বিভাগের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেশি। তাই পরীক্ষার সুষ্ঠু করতে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্র একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।সচিব আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র সম্বলিত ট্রাংক ঢাকা থেকে গ্রহণ, জেলার ট্রেজারিতে সংরক্ষণ এবং উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠানোর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মুঠোফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ছাড়া কোনো প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ–জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়