২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পেতে করণীয়

প্রতিদিনের ডেস্ক
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে স্মার্টফোন বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিনোদন ও উৎপাদনশীলতায় স্মার্টফোন বড় প্রভাবক। তবে সবার পক্ষে ফ্ল্যাগশিপ বা প্রিমিয়াম সেগমেন্টের স্মার্টফোন কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে সাশ্রয়ী মূল্যের বা বাজেট সেলফোন কিনলে যে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে না এমন কোনো কথা নেই। গিজ চায়না প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ফ্ল্যাগশিপের মতো বাজেট ডিভাইসে শক্তিশালী প্রসেসর বা গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) থাকে না। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে এ ধরনের ডিভাইসও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরিয়ে ফেলা: বাজেট বা সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনে সবসময় অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ দেয়া হয়ে থাকে। প্রযুক্তির ভাষায় এটি ব্লোটওয়্যার। এসব অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থেকে প্রসেসরের ও ব্যাটারির ওপর চাপ তৈরি করে। এ কারণে সেটিংস থেকে এসব অ্যাপ বন্ধ করা বা আনইনস্টল করে দেয়া ভালো।
ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ চালু না রাখা: স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন অ্যাপ চালু থাকে, যা একই সঙ্গে ব্যাটারি ও র‍্যামের ওপর প্রভাব ফেলে। এ কারণে যেসব অ্যাপ সচরাচর ব্যবহার করা হয় না, সেগুলোকে সেটিংসে থেকে বন্ধ করে রাখতে হবে। এছাড়া ডিভাইসের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য হালকা অ্যাপ লঞ্চার ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।
স্টোরেজ পরিষ্কার রাখা: অ্যাপ ব্যবহার করার সময় ডিভাইসে ক্যাশ ফাইল জমা হয়ে থাকে। তাই প্রায় সময় অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, ছবি, ভিডিওর পাশাপাশি ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলতে হবে। এছাড়া ডিভাইসের স্টোরেজের ওপর চাপ কমানোর জন্য গুগল ড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা ভালো। কাজে লাগবে না এমন বড় ফাইল কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
সিস্টেম আপডেট রাখা: স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা ভালো পারফরম্যান্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ত্রুটির সমাধান, সফটওয়্যার উন্নয়ন ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান দেয়া হয়। দ্রুত সময়ে আপডেট পাওয়ার জন্য অটো সেটিংস চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা কমানো: সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইস থেকে ভালো পারফরম্যান্স পেতে ডিসপ্লের উজ্জ্বলতাও কমিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অটো-ব্রাইটনেস ফিচার সহায়ক। চাইলে ম্যানুয়ালি উজ্জ্বলতা নির্ধারণ করে নেয়া যায়। এতে ব্যাটারির ওপর চাপ কম থাকে। ডার্ক মোড ব্যবহারেও সুবিধা পাওয়া যায়।
জিপিএস বা লোকেশন বন্ধ রাখা: বাইরে থাকা অবস্থায় যেকোনো জায়গা সম্পর্কে জানার জন্য জিপিএস সহায়ক। তবে প্রয়োজন না হলে এটি বন্ধ রাখাই ভালো। কেননা এটি একই সঙ্গে মোবাইল ডাটা ব্যবহারের মাধ্যমে যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করে থাকে।
অ্যানিমেশন বন্ধ রাখা: অ্যাপ চালুর ক্ষেত্রে স্মার্টফোনে যে অ্যানিমেশন থাকে তা ডিভাইসের র‍্যামে প্রভাব ফেলে। সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসে স্টোরেজ এমনিতেই কম থাকে। তাই অ্যানিমেশন বন্ধ রাখলে তা ভালো পারফরম্যান্স পেতে সহায়ক হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়