৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

দেবহাটায় ফুটবল মাঠে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান সহ আহত ৫

রুহুল আমিন, দেবহাটা
দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পিলের মাঠ এলাকার শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠে ধান ক্ষেতের পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ সরদার (৭০), আবুল সরদার (৬৫), আব্দুল গফুর (৬৩) ও রাজু (৪০) নামের ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, সখিপুরের শেখ রাসেল স্মৃতি মাঠে কিছুদিন আগে প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট করে শিশুদের খেলার উপযোগী করা হয়েছে। ঈদের কয়দিন পরে ঐ মাঠে একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শনিবার সকালে আমাকে স্থানীয়রা ফোন করে জানান পাশের বিলের ধান ক্ষেতের পানি নিয়ে মাঠে সেচ দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেনে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আজহারুল ইসলাম নামের ব্যক্তির কাছে পানি সেচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। আমি খেলার মাঠে এভাবে পানি সেচ দেয়া বন্ধ করতে বললে আমার উপর তিনি চড়াও হন এবং বিভিন্ন জায়গায় ফোন কল দিতে থাকে। একপর্যায়ে আমি পানি সেচ বন্ধ করে দিলে সে আমার উপর হামলা করে। চেয়ারম্যান বলেন, তার মাথা সেলাইরেন্স দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থান আঘাত প্রাপ্ত হলে স্থানীয় জনসাধারণ এসে তার উপর হামলাকারীদের মারপিট শুরু করে। তাদের হামলায় কয়জন আহত হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন বলে চেয়ারম্যান জানান। সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সরদার আমজাদ হোসেন জানান, তার ভাইপো আজহারুল তাকে কল করে তার ধানের ক্ষেতে যেতে বলেন। তিনি তার ফোন পেয়ে সেখানে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে নামার আগে টেনে হেচড়ে নামানো হয়। পরে তাকে এবং তার ৩ ভাই ও তার ভায়ের কর্মচারীকে তারা পিটিয়ে জখম করে। ততক্ষণ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সবকিছু ছত্রভঙ্গ করে। তখন তিনি অচেতন ছিলেন। জ্ঞান ফিরলে তাকে ও তার ভাই আবুল সরদার, আব্দুল গফুর ও কর্মচারী রাজুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে আমজাদ হোসেন জানান। এঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ জানান। তবে এঘটনায় সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ]]]০]বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে যাতে আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে বিষয়ে তিনি নিজেই তদারকি করছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি এজাহার পেয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়