খুুলনা প্রতিনিধি
খুুলনা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর মামলায় খুলনা কৃর্ষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিয়ান নাছরিন সুলতানা নিপা কারাগারে। নাছরিন সুলতানা নিপার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম, লুটপাট এবং অন্তঃস্বত্ত্বার পেটে লাথি মেরে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ এনে মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যোগিপোল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রুমা খন্দকার মুন্নি বিজ্ঞ আদালতে সি. আর মামলা করেন। রুমা খন্দকার মুন্নির করা সি. আর-৭২/২৩(দৌলতপুর) মামলাটি বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। পিবিআই কর্তৃক মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে নাছরিন সুলতানা নিপার বিরুদ্ধে ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় এই মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই কর্মকর্তা। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত নাছরিন সুলতানা নিপার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গত ২০ মার্চ নাছরিন সুলতানা নিপা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি অবহিত করতে বাদী পক্ষের উকিল খুলনা কৃর্ষি ইনস্টিউটের অধ্যক্ষ বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকে একাধিক পত্র প্রেরণ করলেও অজ্ঞাতকারণে পত্রটি রিসিভ করেনি। এদিকে নাছরিন সুলতানা নিপা কারাগারে থাকার কারণে দীর্ঘদিন তার কর্মস্থল খুলনা কৃর্ষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুপস্থিত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং রেজিস্ট্রি ডাক গ্রহণ না করায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ চাকুরীর বিধি অনুসর না করে অমান্য করার অভিযোগ করেছে বাদী পক্ষের উকিল এ্যাডভোকেট জাকির উদ্দিন আহমেদ লিটন। মামলার অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, রুমা খন্দকার মুন্নির মহেশ^রপাশা বাড়ীতে গত বছরের ১১ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় পুর্বশত্রুতার জেরে খুলনা কৃর্ষি ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিয়ান নাছরিন সুলতানা নিপা খোকন ফকির সহ অজ্ঞাতনামারা হামলা চালিয়ে রুমা খন্দকার মুন্নিকে মারধর এবং গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় প্রতিবেশী অন্তৎস্বত্ত্বা লিপি ঠেকাতে আসলে নাছরিন সুলতানা নিপা লিপির পেটে লাথি মারে। তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়া সময় রুমা খন্দকার মুন্নির ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণের দশ আনা ওজনের একটি চেইন এবং একটি দামী মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রুমা খন্দকার মুন্নি বাদী হয়ে নাছরিন সুলতানা নিপাসহ চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩১৩/৪৪৮/৩৭৯/৫০৬ ধারায় মামলা করেন (যার সি আর নং-৭৩/২৩)। আদালত মামলাটি দতন্তের জন্য পিবিআই খুলনাকে হস্তান্তর করে। পিবিআই তদন্তে নাছরিন সুলতানা নিপার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। আদালত গত ২০ মার্চ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে নাছরিন সুলতানাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। নাছরিন সুলতানা নিপা দীর্ঘদিন তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে অবহিত করতে একাধিক বার রেজিস্ট্রি ডাক প্রেরণ করা হলেও অধ্যক্ষ তা গ্রহণ না করার অভিযোগ করেছে বাদী পক্ষের উকিল। এ বিষয়ে খুলনা কৃর্ষি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রিনা আক্তার এর কাছে জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।