২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

আজ নাজাতের ৮ম দিন

আবু সাঈদ মারুফ
আজ নাজাতের ৮ম দিন। মাহে রমজানের ২৮তম দিবস। জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির অষ্টম দিন অতিবাহিত হচ্ছে আজ। রমজানের শেষ দশকের আজকের দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথ সহজ হওয়ার একটি দোয়া তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ওয়াফ্‌ফির হাজ্জি ফিহি মিনান নাওয়াফিল; ওয়া আকরিমনি ফিহি বি-ইহদারিল মাসাইল; ওয়া ক্বার্‌রিব ফিহি ওয়াসিলাতি ইলাইকা মিন বাইনিল ওয়াসাইল; ইয়া মান লা ইয়াশগালুহু ইলহাহুল মুলিহহিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে নফল ইবাদাতের পর্যাপ্ত সুযোগ দাও। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদায় আমাকে ভূষিত কর। তোমার নৈকট্য লাভের পথকে আমার জন্যে সহজ করে দাও। হে পবিত্র সত্ত্বা! যাকে, অনুরোধকারীদের কোনো আবেদন-নিবেদন ন্যায় বিচার থেকে টলাতে পারে না।
পবিত্র হাদিস শরীফে এই মাসকে ‘শাহরুল মুওয়াসাত’ বা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাস হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এ মাসে মুসলমানরা পরস্পরের মধ্যে ইফতারি তথা আহারাদি বিনিময় এবং আহার করানো একটি উত্তম পন্থা ও সওয়াবের কাজ হিসেবে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন ‘যে ব্যক্তি মুসলমান ভাইকে উদরপূর্ণ করে পানাহার করাবে, আল্লাহ তাঁকে দোযখের আগুন থেকে সাত খন্দক দূরে রাখবে, প্রত্যেক খন্দকের মধ্যবর্তী দূরত্ব হল পাঁচ শত বছরের পথ।’ প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে ক্ষুধার্তকে আহার প্রদান করে’। আরেকটি হাদিসে মানুষকে পানাহার করানো ও পরস্পর সালাম বিনিময় করাকে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তম ইসলাম হিসেবে চিত্রিত করেছেন। কাউকে পানাহার করানোর সময় আপন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শী ও এলাকার দরিদ্র জনসাধারণ বেশি হকদার। মনে রাখা প্রয়োজন যে, দরিদ্র আত্মীয়স্বজনকে আহার করানো সাদকাহ থেকেও উত্তম। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বি আল্লাহ তা’আলা আনহুমা) থেকে বর্ণিত আছে, আমাদের আক্কা ও মাওলা হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সে ব্যক্তি মুসলমান নয়, যে উদয় পূর্তি করে খায়, আর তার প্রতিবেশী উপোস থাকে।’ (বায়হাকী) হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত আছে যে, দরিদ্র অভাবী মুসলমানদের খাওয়ালে স্বয়ং আল্লাহকেই খাওয়ানো হয়। অথচ আল্লাহু তা’আলা পানাহার থেকে পবিত্র। যিনি পানাহার করালেন তার জন্য দো’য়া করা কর্তব্য। আমাদের প্রিয়নবী (সাল্লল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন, আল্লাহুম্মা আত্ময়িম মান আত্ম’আমানী ওয়া আসক্বি মান সাক্বানী অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে যিনি খাওয়ালেন, তুমি তাকে আহার করাও। আর যে আমাকে পান করালেন, তাকে তুমি পান করাও।
পরিশেষে : আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের আজকের দিনে মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়