২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

চৈত্রের ভরদুপুরে নেমে এলো রাতের আঁধার

প্রতিদিনের ডেস্ক
রোববার দুপুর পৌনে ১২টা। চৈত্রের তীব্র গরমে সারাদেশে যখন নাভিশ্বাস উঠছে, তখন চট্টগ্রামের আকাশে হঠাৎ নেমে এলো যেন রাতের আঁধার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বাসাবাড়ি আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জ্বালোনো হয়েছে বাতি।আজ ২৪ চৈত্র। গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। দেশের কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিপর্যস্ত জনজীবন। কিন্তু আজ সকাল থেকেই আকাশে গুমোট অবস্থা বিরাজ করছিল। আকাশে মেঘের ঘনঘটা।
বেলা সাড়ে ১১টার পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা আঁধারে ঢেকে যেতে থাকে। কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টিও শুরু হয়। বজ্রবিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে থাকে। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে যা স্বস্তির বার্তা বয়ে আসে সাধারণ মানুষের কাছে।
এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকা মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে প্রায় রাতের আঁধার নেমে আসে পৌনে ১২টা নাগাদ। এ অবস্থা আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। পরে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি আঁধার কাটেনি।
মিরসরাই এলাকার বাসিন্দা আজিজ আজহার বলেন, আমরা কালবৈশাখি দেখেছি। কিন্তু ভরদুপুরে রাতের আঁধার দেখতে আমরা কখনো দেখিনি। এ ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষ বিস্মিত হয়ে যান। মহাসড়কের গাড়িগুলো বাধ্য হয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বাতি জ্বালানো হয়েছে রাতের মতই।’
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ হারুনর রশিত বলেন, ‘পশ্চিমে লঘুচাপের কারণে আজ চট্টগ্রামসহ রাজধানীতে সারাদেশে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে আরও কয়েকটি তাপপ্রবাহ হতে পারে। এছাড়া এ মাসে তীব্র কালবৈশাখির আশঙ্কা আছে।’
আবহাওয় অধিদপ্তর বলছে, ঢাকাসহ দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, ফরিদপুর এবং ঢাকা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।পূর্বাভাসে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি তাপমাত্রা বয়ে যেতে শুরু করে। এর মধ্যে শনিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে। তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে ছিল লোডশেডিং। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে দেশের প্রায় সর্বত্রই লোডশেডিং হয়। তীব্র গরম আর এর সঙ্গে লোডশেডিংয়ে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়