তরিকুল ইসলাম, শার্শা
শার্শা গোপালপুর ইছাপুর আমিনিয়িা দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ না হতেই অগ্রিম নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, পূর্বের সুপার অবসরে যাওয়ার পূর্বেই রাকিবুল হাসান এবং ইছাপুর গ্রামের গোলাম (১৮) লিপিকা (১৯) আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে দুই-প্রাথীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হারে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন। চাকুরী পাওয়ার পর অবশিষ্ট ৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি গোপালপুর ইছাপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার একজন আয়া ও ১ জন নৈশ প্রহরী নিয়াগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। এদিকে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত দু-জনকে মাদ্রাসায় চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রায় দেড় বছর তাদের অভিভাবকের নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা অগ্রিম ঘুষ আদায় করেছেন। এলাকায় একাধিক যোগ্য ব্যাক্তি থাকা সত্ত্বেও তাদের কাউকে ঐ প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে নিষেধ করছে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিয়াদ আলীর কাছে তার মুঠোফোনে আয়া ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার জন্য দুই প্রার্থীর নিকট থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একথা জেনে আপনার লাভ কি, আমি টাকা নিয়েছি আমি ত বলেছি তাদেরকে চাকুরী দেব। এব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান সুপার টাকা নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এব্যাপারে কিছুই জানিনা। সভাপতি আমাকে নিময় অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য বলছে এটুকুছাড়া আমার কিছু জানা নেই। এব্যাপারে শার্শা উপজলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।