প্রতিদিনের ডেস্ক
প্যারিস সেন্ট জার্মেই ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই স্মরণ করে দেয় ২০১৭ সালের ‘লা রেমোন্তাদার’ কথা। অবিস্মরণীয় সেই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তারপর ২০২১ সালে দুই লেগে তাদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিল পিএসজি। সাত বছর আগের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে বার্সার ডাগআউটে ছিলেন লুইস এনরিকে। এবার তিনি প্রতিপক্ষ শিবিরের ডাগআউটে। এবার তার দায়িত্ব পিএসজিকে প্রথমবার ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব এনে দেওয়ার। এজন্য আর পাঁচ ম্যাচ জিততে হবে স্প্যানিশ কোচকে। বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় পার্ক দে প্রিন্সেসে তার সাবেক ক্লাবকে স্বাগত জানাবে প্যারিসিয়ান ক্লাব। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে এর আগে ১২ বার দেখা হয়েছিল পিএসজি-বার্সেলোনার। দুই দলই জিতেছে ৪টি করে ম্যাচ, হার ও ড্র ৪টি করে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে দুই দল ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবশেষ দুই আসরেই বার্সেলোনার পথচলা শেষ হয়েছিল গ্রুপ পর্বে। জাভি হার্নান্দেজের বিদায়ী মৌসুমে সেই হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে শেষ ষোলোর বাধা পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কাতালান জায়ান্টরা। চার বছরের মধ্যে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মঞ্চে শেষ আটে তারা। এই ম্যাচের আগে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আগামী মৌসুমেই বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে তার পা রাখার কথা। তার আগে পিএসজির জার্সিতে নিজের শক্তিমত্তা দেখাতে প্রস্তুত ফরাসি ফরোয়ার্ড। অবশ্য সবশেষ দেখায় নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে শেষ ষোলোতে ন্যু ক্যাম্পে হ্যাটট্রিকসহ বার্সার জালে দুই লেগে চারবার বল জড়ান এমবাপ্পে। এবারও একই চেহারা দেখানোর অপেক্ষায় তিনি, ‘আমি সবসময়ই প্রস্তুত থাকি। আমি নিজেকে লুকিয়ে রাখি না। আমি নিশ্চিত যে আমরা সব কিছু উজাড় করে দিয়ে খেলবো। বাকিটা ঈশ্বরের হাতে।’ এই ম্যাচে দুই দলই তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞায় রক্ষণভাগে থাকছেন না আশরাফি হাকিমি। তাতে করে পিএসজি কোচ এনরিকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। জাভিকেও ভাবাচ্ছে একটি বিষয়। এই ম্যাচে কার্ড দেখলে পরের লেগে অন্তত সাত জন খেলোয়াড়কে দলে পাবে না বার্সা। তবে পেদ্রি ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াংয়ের ফেরার আভাসে ভালো কিছুর আশায় আছে তারা।