১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ৯ বিজিপি সদস্য

প্রতিদিনের ডেস্ক
জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও নয় সদস্য। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের খারাংখালী এবং ঝিমংখালী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নতুন করে কিছু মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভাষা সমস্যাসহ নানা কারণে আমরা তাদের পরিপূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে আশ্রয় নেওয়া সবাই মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে যুক্ত বলে জেনেছি। তারা আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’ এদিকে, ঈদের দিন থেকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির তুমুল যুদ্ধ চলছে। ওপারের একের পর এক মর্টার শেল-গোলার বিকট শব্দে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটছে না।’ টেকনাফের হ্নীলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. হুমায়ুন বলেন, ‘ঈদের পর আবারও শুরু হওয়া ওপারের সংঘাতের গোলার শব্দ এপারে পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রাণে বাঁচতে দেশটির বিজিপির নয় সদস্য সীমান্ত দিয়ে এপারে ঢুকে পড়েছেন। বিজিবি তদের হেফাজতে নিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সীমান্তের লোকজন ধারণা করছেন।’ নতুন করে সীমান্ত দিয়ে নয় জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য ঢুকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে নিয়েছে। সীমান্তে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে আছে।’ প্রসঙ্গত, এর আগে, গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসেন ৩৩০ জন। তাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়