প্রতিদিনের ডেস্ক:
পুরানো বাড়ি এবং একটি ধুতুরি গাছ
একটি পুরানো বাড়ি। একটি ধুতুরি গাছ।
ধুতুরি গাছ আগাছার সঙ্গে জটলা করে দাঁড়িয়ে–
কাঁটাযুক্ত, গন্ধযুক্ত।
এখানে আমরা প্রেম করেছি একদিন
এখানে আমরা স্বপ্ন দেখেছি অনেকবার।
এখন সেই প্রেমিকা আর আসে না।
ধুতুরির কামুকতার পাতা গ্রাস করেছে কোমলতার স্বপ্ন
ধুতুরির ফুল, ধুতুরার রস…কতই না কিচ্ছাকাহিনি!
কল্পনাকে প্রেমিকা ভাবা কি ভুল ছিলো?
পুরানো বাড়িই পথ দেখায় নতুন সৌধের!
ধুতুরির জুজুর ভয়ে যাইনিকো অনেকদিন
মাঝের নিষ্ফলা দিনগুলো করে শুধুই হাহাকার!
আমি অন্ধকার ভেদ করে কী পুরানো বাড়ির দিকে যাবো না?
প্রেমিকা তো আর নেই!–কে আমাকে রুখবে?ট্রেনে উঠতে বাম হাতও লাগে
আমরা বলি, নারী উৎকৃষ্টতম এক শিল্প।
তবে, তার ঠোঁট যা বলে আমরা বিশ্বাস করি কম
তার মা-ও তাকে গুরুত্বহীন করে
মাছের মাথাটা পুত্রের পাতে চলে যায়।
নারী উৎকৃষ্ট তবে ফাঁপা শিল্প–
সমাজে অপদার্থ, অলংকার!
শরীরের প্যারালাইজড অংশ যেন!
ট্রেনে উঠতে শুধু ডানহাত পারবে?
আশ্রয়ের অবহেলায় শোণিত করে ঠকঠক
আমার আশ্রয় বাংলাদেশ।
আমার অস্তিত্ব একাত্তর
আমার হিরো মুক্তিকামী মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা
আমার জিরো পাকিস্তানি প্রেতাত্মা, রাজাকার, আল বদর…
শকুন আমার দুচোখের বিষ
সপ্তম নৌবহর এক থুতুর নাম।
আশ্রয়ের অবহেলায় শোণিত করে ঠকঠক।