২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

সজিনার স্বাস্থ্যগুণ

প্রতিদিনের ডেস্ক
রোগ প্রতিরোধে সজিনার তুলনা নেই। গবেষকরা বলছেন, এই সবজিতে ৩০০ রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এ বিচারে সবজিকে যদি সুপারহিরোদের সঙ্গে কল্পনা করা হতো, তাহলে সজিনাকে বলা হতো আয়রন ম্যান।
আন্তর্জাতিক সাময়িকী ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফাইটোথেরাপির তথ্য, সজিনা গাছের শুকনো পাতায় কমলালেবুর থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এতে দইয়ের চেয়ে নয় গুণ বেশি প্রোটিন, গাঁজরের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ আছে। এবং কলার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি পটাসিয়াম থাকে সজিনাতে।
চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের কোনো স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে সজিনার শিকড়ের প্রলেপ দিলে ওই ব্যথা ও ফোলা সেরে যায়। সজিনার আঠা দুধের সাথে খেলে ও কপালে মালিশ করলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে সজিনার ফুল। এই ফুল খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। সজিনার ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রথলির পাথর দূর হয়। একইসঙ্গে তা হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রেও বিশেষ উপকারী।
সজিনা পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে শিশুদের পেট জমা গ্যাস দূর হয়। এই সবজির চাটনি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। সজিনার রস হৃদরোগ চিকিৎসায় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়।
সজিনা পাতার শাক খেলে যন্ত্রণাধায়ক জ্বর ও সর্দি সেরে যায়। সজিনার ফল নিয়মিত রান্না করে খেলে গেঁটে বাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সজিনা শরীরের প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য, ভারি ধাতু অপসারণ করে ফেলে। তা ছাড়া শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, মাথা ধরা, মাইগ্রেন, আর্থাইটিস এবং চুলপড়া রোগের চিকিৎসায় ও সজিনা কার্যকর ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, থাইরয়েডের চিকিৎসার সময় অন্য কোনো ওষুধের সাথে মেশালে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা খুবই কমিয়ে দিতে পারে। রক্তচাপ কমানোর ওষুধের সাথে এটি খেলে তা রক্তচাপ অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে। এবং যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে তাদের সজিনা না খাওয়াই উত্তম।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়