প্রতিদিনের ডেস্ক:
১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় দ্রুত গতির একটি মিনিবাস একটি বেবি ট্যাক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন ট্যাক্সি চালকসহ যাত্রীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চালক কলিমউদ্দিন। সেই মামলায় মিনিবাস চালকের ৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।সড়ক দুর্ঘটনাটির মামলা করে ট্রাফিক বিভাগ। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে মিনিবাস চালকের তিন বছরের সাজা হয়। সেই সাজা থেকে রেহাই পেতে আপিল ও রিভিশন করেন বাসচালক সেলিম। ঘটনার ৩২ বছর পর অবশেষে হাইকোর্ট তার সাজা বহাল রাখেন।২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে।আদালতে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো.আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আ.জলিলের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় তেজগাঁও পলিটেকনিকের কাছে সাতরাস্তার মহাখালী রোডে একটি মিনিবাস দ্রুতগতিতে একটি বেবি ট্যাক্সিকে ধাক্কা দেয়। এতে চালকসহ যাত্রীরা আহত হন।মামলার তদন্ত চলাকালে বেবি ট্যাক্সিচালক কলিমউদ্দিন মারা যান। তদন্ত শেষে মিনিবাস চালক সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শওকত আলীর আদালত রায় দেন। রায়ে সেলিমকে পৃথক ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। জামিনে থাকা সেলিম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন।পরে মহানগর দায়রা আদালতে আপিল করা হয়। ২০০৫ সালের ৩০ নভেম্বর আপিলটি গ্রহণ না করে সরাসরি খারিজ করেন মহানগর দায়রা জজ মো.মমিন উল্লাহ। পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন সেলিম। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে রিভিশন খারিজ করে হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বহাল রাখেন।রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আসামিকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।