প্রতিদিনের ডেস্ক
এক ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে তোলপাড়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যকার ম্যাচে আইপিলে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। গড়েছে দারুণ সব রেকর্ড। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক- গতকাল সোমবার রাতের হাই স্কোরিং ম্যাচে কী কী রেকর্ড হলো- ১. নিজেদের রেকর্ড ভেঙে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে হায়দরাবাদ। চলতি মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে করা ২৭৭ রানের রেকর্ড ভেঙে গতকাল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তারা তুলেছে ২৮৭ রান। ২. বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদের মধ্যকার এই ম্যাচে মোট রান হয়েছে ৫৪৯। আইপিএলের ইতিহাসে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচটি ছিল ৫২৩ রানের, হায়দরাবাদ ও মুম্বাইয়ের মধ্যকার ম্যাচে চলতি আসরেই। ৩. গত ম্যাচে আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২২ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড করেছে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। এর আগে ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে এক ইনিংসে ২১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ৪. হাইস্কোরিং এই ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররা মোট ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৮টি। আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। চলতি মৌসুমেই ৩৮ হাঁকানোর রেকর্ড করে হায়দরাবাদ ও মুম্বাই। ৫. গত ম্যাচে মোট বাউন্ডারি হয়েছে ৮১টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি হাঁকানোর ম্যাচ। এর আগে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচে ৮১ বাউন্ডারি হয়েছিল। ৬. হায়দরাবাদের ২৮৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু করতে পেরেছে ২৬২ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এত রান করে আর কোনো দল হারেনি। অর্থাৎ হেরে যাওয়া কোনো দল এত রান করেনি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫৮ রান করেও হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭. আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম কোনো দল হিসেবে দুইবার ২৫০ এর বেশি রান করার কীর্তি গড়েছে হায়দরাবাদ। একই ম্যাচে সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে বেঙ্গালুরু। ৮. গত ম্যাচ বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করেছেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। এই ম্যাচে ৫০ এর বেশি রান খরচ করেছেন বেঙ্গালুরুর ৪ বোলার (রিসি টপলি ৬৮, যশ দয়াল ৫১, লকি ফার্গুসন ৫২ ও বিজয়কুমার বসাক ৬৪)। এর আগে কখনো এক দলের ৪ বোলারের পঞ্চাশোর্ধ খরচ করার রেকর্ড নেই। ৯. গত ম্যাচে ৭টি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে কখনো এমন রেকর্ড দেখা যায়নি।