৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

কালীগঞ্জে আশ্রয়ণের প্রকল্পের ঘরে ফাটল!

সোহাগ আলী, কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাইজদীয়া বাঁওড় পাড়ে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ঘরে ফাটল ধরেছে।সেখানে বসবাসরত বেদে সম্প্রদায়ের অসহায় পরিবারগুলো ঘর মেরামত করতে না পারায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিরুপাই হয়ে বসবাস করছেন ফাটল ধরা ঘরে। যে কোন সময় দেয়াল ধ্বসে প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন পরিবারগুলো।জানাগেছে, বেদে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে সরকারের উদ্যোগে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ঝিনাইদহে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর গ্রামের মাজদীয়া বাঁওড়ের ধারে বেদে সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য ৫৯ পরিবার নিয়ে স্বপ্ননীড় আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে উঠেছে।গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মাইজদীয়া বাঁওড় পাড়ে ২ কক্ষ বিশিষ্ট ইটের পাকা ৫৯ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘর নির্মাণের মাত্র দুবছরের মাথায় সুবিধাভোগী বাবুল হোসেনের ৮ নং ঘরের দেয়াল ফেটে যায়। বর্তমানে দেয়ালের ইট বা দেওয়াল খুলে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যেকোন সময় দেয়াল ধ্বসে প্রাণহানীর মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। পরিবাররের লোকজন বলছেন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফাটলের ব্যাপারে জানালে তারা এসে পরিদর্শন করে ছবিও তুলে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এর পরেও সংস্কার করা হয় নি। ১৩ নং ঘরের সুরুজ আলী বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। আমার সংসারে ৫ জন সদস্য রয়েছে। অনেক কষ্টে ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ করতে হয়। যে পরিমান আয় রোজগার হয় তা দিয়ে কোন রকম সংসার চলে। পাকা ঘর মেরামত করতে গেলে যে পরিমানে টাকার প্রয়োজন তা আমার নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আতংক আর অশংকার মধ্যে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।’ এব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এদের মতো ৯ নং বাড়ির আসমত আলী, ৪২ নং ঘরের বাবুসহ বেশ কয়েকজনের ঘরে নানা ত্রুটি বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ভরাট জায়গার উপর আশ্রয়নের ঘরগুলো নির্মাণ করার কারণেই মূলত অল্প সময়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফাটল ধরা ঘরগুলোর সংস্কার কাজ করা হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়