শেয়ারবাজারে দরপতন থামছেই না

0
4

প্রতিদিনের ডেস্ক:
ঈদের পর টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। আজ বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই সূচক কমলো।এর আগে দেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়লে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমে যায় এক লাখ কোটি টাকার ওপরে। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা চার কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। ফলে ঈদের পর শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বিনিয়োগকারীদের।কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে আবার শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতনের পর বুধবার লেনদেন শুরুর দিকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।তবে লেনদেনের শেষদিকে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকয়টি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।বুধবার (১৭ এপ্রিল) লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২২২ প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন সন।এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফু-ওয়াং ফুড, ফু-ওয়াং সিরামিকস, বেস্ট হোল্ডিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস এবং প্যরামাউন্ট টেক্সটাইল।অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।