প্রতিদিনের ডেস্ক:
মোবাইল ইন্টারনেটের ডাটা প্যাকেজ কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মতামত নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিটিআরসির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গুগল ডকসের লিংক শেয়ার করে মতামত দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মূলত মোবাইল অপারেটরদের ডাটা প্যাকেজের দাম, মেয়াদ সম্পর্কে তথ্য নিতে এ মতামত নিচ্ছে সংস্থাটি।বিটিআরসির ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, বিটিআরসি কর্তৃক ২০২৩ সালের অক্টোবরে মোবাইল ফোন অপারেটগুলোর ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ যথাক্রমে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড নির্ধারণ করা হয়।এতে আরও বলা হয়, মোবাইল অপারেটর কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদের ডাটা প্যাকেজের বিষয়ে মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন। জনমত জরিপের জন্য ফর্মের তথ্যগুলো পূরণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।এদিকে, ফর্মে প্রথম দিকে মোবাইল নম্বর, বয়স, লিঙ্গ, পেশা জানতে চাওয়া হয়েছে। এরপর ডাটা প্যাকেজের মেয়াদকাল কেমন হওয়া উচিত তা জানতে চেয়েছে বিটিআরসি। সেখানে অপশন হিসেবে রয়েছে, ‘৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড’; ‘৩ দিন, ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড’; ‘৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড’।এর পরের অপশনে বিটিআরসি গ্রাহকের কাছে ৩ দিন মেয়াদি প্যাকেজ চালু করা হলে তাতে ডাটার পরিমাণ কেমন হওয়া উচিত, তা জানতে চেয়েছে। অপশনে রাখা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৩, ৪, ৫ নাকি ৬ জিবি? তাছাড়া একেবারে শেষে ডাটা প্যাকেজের বিষয়ে আরও যদি কোনো মতামত থাকে, তা দিতে পারছেন ব্যবহারকারীরা।গত অক্টোবরের আগে মোবাইল অপারেটরদের ৯৫টি প্যাকেজ ছিল। যেগুলোর মেয়াদ ছিল এক ঘণ্টা থেকে অনির্দিষ্টকালের। অপারেটরদের এ প্যাকেজ সংখ্যা ৪০টির মধ্যে আনার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। অক্টোবরে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তাতে জনপ্রিয় ৩ দিন ও ১৫ দিনের প্যাকেজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় অপারেটর কোম্পানিগুলো। বর্তমানে ৭ দিন, ৩০ দিন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য তিন মেয়াদের বেশকিছু প্যাকেজ চালু রেখেছে অপারেটররা। তবে গ্রামীণফোন ১ দিনের একটি প্যাকেজও চালাচ্ছে।বিটিআরসি সূত্র জানায়, আগামী ৮ মে টেলিযোগাযোগ খাতের সমস্যা নিয়ে গণ-শুনানির আয়োজন করেছে বিটিআরসি। সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি, ইন্টারনেট সেবা, ডাটা প্যাকেজের দামসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ ও মতামত জানাতে পারবেন গ্রাহকরা।বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, যারা গুগলে মতামত দিচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে নির্ধারিত কিছু গ্রাহককে শুনানিতে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া ডাটা প্যাকেজ নিয়ে জনমত জরিপের তথ্য পর্যালোচনা করবে বিটিআরসি।