প্রতিদিনের ডেস্ক
ইসরায়েলের হামলা থেকে গাজার মানুষ, বাড়িঘর, অবকাঠামো, হাসপাতাল কোনও কিছুই রক্ষা পায়নি। এর মধ্যেই গাজার একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ইসরায়েলি গোলার আঘাতে ৪ হাজারের বেশি ভ্রূণসহ শুক্রাণুর নমুনা ও ডিম্বাণু ধ্বংস হয়েছে। গাজার আল বাসমা আইভিএফ কেন্দ্রে ঘটে এ ঘটনা। গত বছর ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা আঘাত হেনেছিল গাজার সবচেয়ে বড় এই ফার্টিলিটি ক্লিনিকে। খবর রয়টার্সের। বিস্ফোরণে সেখানকার ভ্রূণবিদ্যা ইউনিটের এক কোণে সংরক্ষিত পাঁচটি তরল নাইট্রোজেন ট্যাঙ্কের ঢাকনা ফেটে যায়। এতে অতি-ঠান্ডা তরল বাষ্পীভূত হয় এবং ট্যাঙ্কের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে সেটিতে সংরক্ষিত থাকা ৪ হাজারের বেশি ভ্রূণ এবং আরও ১ হাজার শুক্রাণুর নমুনা ও অনিষিক্ত ডিম্বানু ‘ধ্বংস’ হয়। ইসরায়েলের এই একটি হামলারই প্রভাব হয়েছে সুদূরপ্রসারী। এ হামলা গাজার ২৩ লাখ মানুষের ওপর ইসরায়েলের সাড়ে ছয় মাস ধরে চলা হত্যাযজ্ঞে অদেখা এক বর্বরতার উদাহরণ, যা অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়নি। ইসরায়েলের এ হামলার মধ্য দিয়ে মূলত এক গোলাতেই নিভে গেছে ৫ হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণ, যারা জীবন পাওয়ার আগেই ঝরে গেছে। চুরমার হয়েছে হাজারো নিঃসন্তান দম্পতির স্বপ্ন।