২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি,
চুয়াডাঙ্গায় টানা চার দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯) এপ্রিল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুম ও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চলমান তাপদাহে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে জেলাব্যাপী মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে আজ থেকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।
চলমান দাবদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছু দিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মুদি ব্যবসায়ী তানভিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন যাবত গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ওপরে নিচে ফ্যান চললেও গায়ে লাগছে না বাতাস।কৃষকরা বলছেন, রোদের প্রখরে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আম, লিছু, ধানসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে আজ বাতাসের কারণে কাজ করতে কিছুটা স্বস্তি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বাসিন্দা গৃহবধূ নিশি বলেন, টিনের ঘরে স্বামী ও দুই ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিনের চাল গরম হয়ে ওঠে। ঘরেই থাকা যায় না। বাড়ির পাশে গাছ তলায় থাকতে হচ্ছে। ফ্যান চালিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়