প্রতিদিনের ডেস্ক:
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম। এখন ১০০ টাকার নিচে বাজারে কোনো ডাব নেই। এ দামে যেগুলো মিলছে সেগুলো ছোট আকারের। আর মাঝারি ও বড় সাইজের একেকটি ডাবের দাম ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।বিক্রেতারা বলছেন, গরমে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। সেই তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম। সবমিলে এমন ঊর্ধ্বগতি।বাড্ডা লিংক রোডের ডাব বিক্রেতা মাইনুল হাসান বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা ডাবের দাম বাড়িয়েছেন। গত কয়েক বছর প্রচণ্ড গরমের কারণে এসময় ডাবের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষ করে এ সময় ডেঙ্গুরও প্রকোপ হয়। সেজন্য চাহিদা বাড়ে।তিনি বলেন, এরপর এখন যে সরবরাহ তার চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। সেজন্য দাম বাড়ছে। ঈদের পরে প্রতিটি ডাবের দাম ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।
বাড্ডা ছাড়াও অন্য কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, ডাবের বিক্রি বেড়েছে। মালিবাগে রাস্তার পাশে ডাব বিক্রি করছিলেন এক বৃদ্ধ। তিনি তার ভ্যানে থাকা ছোট আকারের একেকটি ডাবের দাম চাইলেন ১৩০ টাকা। মাঝারি আকারের ডাবের দাম চাইলেন ১৫০ টাকা, আর সবচেয়ে বড় আকারের ডাবের দাম চাইলেন ২০০ টাকা। ক্রেতারা দরদাম বললে তিনি না কমিয়ে একদামে বিক্রির কথা বলছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় গিয়েও ডাবের একই রকম দাম দেখা গেছে। সেখানে হাসপাতালের সামনে আরও বেশি দামে ডাব বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের চারদিকে প্রায় ১০ থেকে ১২টি ডাবের দোকান রয়েছে। সেখানে ১২০ টাকার নিচে কোনো ডাব পাওয়া যায়নি শনিবার। তবে এখানে ডাবের দাম হাসপাতালগুলোর সামনের দোকান থেকে ২০-৩০ টাকা কম দেখা গেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা ডাবের বাজার। সেখানেও ডাবের দাম বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কমবেশি ডাব আসলেও সেগুলো বেশি দামে কেনাবেচা হচ্ছে। সেখানে আড়তদাররা জানান, বরিশাল, ভোলা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, ফরিদপুর, যশোর ও ময়মনসিংহ থেকে ডাব আসছে। কিন্তু আঞ্চলিক ওই বাজারগুলোতেই দাম বেশি। গত দুই সপ্তাহে পাইকারিতে ডাবের দাম ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
পাইকারি বিক্রেতা খালেক হোসেন বলেন, এখানে শ হিসেবে ডাব বিক্রি হয়। বড় আকারের প্রতি একশ ডাব পাইকারি ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এত দাম আগে কখনো ছিল না। কিছুদিন আগেই দুই-তিন হাজার কম ছিল।
এদিকে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাবে ২০০৯ সালে ঢাকায় একটি ডাবের দাম ছিল ২২ টাকার মতো। সেটা ২০২০ সালে গড়ে ৭৪ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে গড় দাম ১০০ টাকার নিচে হবে না।