খুলনা প্রতিনিধি
তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বাড়ছে। তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা খুলনা। তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না ঘর থেকে। অনেকেই বের হচ্ছেন ছাতা নিয়ে। গরমে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর খুলনায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এবারও তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রায রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এর আগের ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। যা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলতি মাসজুড়ে তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকার রিকশায় বসে ছিলেন চালক রফিকুল। তিনি নগরীর বানরগাতি এলাকার বাসিন্দা। রফিকুল বলেন, প্রচণ্ড গরম। এই গরমে যাত্রী তেমন মিলছে না। যাত্রী না থাকলে রোজগারও হয় না। এই গরমে মানুষ কম বের হলেও আমাদের পেটের দায়ে বের হতে হয়। তিনি বলেন, অসহ্য গরম। এই গরমে বার বার গলা শুকিয়ে আসছে। ঠিকমতো রিকশাও চালানো যায় না। বাতাসের সঙ্গে মনে হচ্ছে গরম ভাপ উড়ছে। বৃষ্টি হলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আরও ৭ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে অভিভাবকদের মাঝে। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ফলে ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।