প্রতিদিনের ডেস্ক
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে থাকার পরও দ্বিতীয় লেগে এসে পা হড়কায় বার্সেলোনা। তাও আবার নিজেদের মাঠে। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালে পা রেখেছে পিএসজি। এমন হারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থকদের রোষানলের শিকার হয়েছেন কানসেলো। কেউ কেউ আবার তার অনাগত সন্তানের মৃত্যু কামনাও করেন। যা দেখে রীতিমত বিস্মিত হয়ে পড়েন এই বার্সা ডিফেন্ডার। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানসেলো বলেন, ‘লোকে সব ধরনের কথাই বলেছে। ইনস্টাগ্রামে এমনও মন্তব্য আছে যেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু কামনা করা হয়েছে। যে কি না এখনো জন্মই নেয়নি। তার এসব আমার মুখে বলবে না কারণ ঝামেলা তৈরি হবে। কিন্তু কমেন্টে তারা যা ইচ্ছা তা-ই লিখতে পারে। তারা আমার সঙ্গী, মেয়ে ও অনাগত সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। পৃথিবীটা নিষ্ঠুর। আপনাকে এটার (নিষ্ঠুরতার) সঙ্গে বসবাস করতে জানতে হবে। আমি জানি কীভাবে চলতে–ফিরতে হয়। কিন্তু তাদের নিয়ে কী বলব, সেটা জানা নেই।’ দ্বিতীয় লেগে কানসেলোর করা ফাউলের কারণেই পেনাল্টি পায় পিএসজি। সেখান থেকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন উসমান দেম্বেলে। নিজেকে নিয়ে সমালোচনা শুনতে রাজি আছেন কানসেলো। কিন্তু পরিবারকে নিয়ে একটা খারাপ কথা বরদাস্ত করবেন না ২৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। তিনি বলেন, ‘একটি শিশুর মৃত্যু কামনা করা সত্যিই গুরুতর ব্যাপার। মানুষ টেলিভিশনে যে ফুটবলকে দেখে, সেটার পেছনের গল্পটা তারা জানেনি। তাদের বোঝা উচিত, আমরা যারা ফুটবলার, তারাও মানুষ। আমরা ঠিক তাদের মতোই। আপনারা আমার পারফরম্যান্সের সমালোচনা করুন। তাতে আমি কিছু মনে করব না। কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে কিছু বলবেন না। সত্যি বলতে, এই সপ্তাহটা খুব কঠিন ছিল। আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমি মনে করি আমরা সেটার (সেমিফাইনালে) যোগ্যও ছিলাম। কিন্তু সেটা যেহেতু হয়নি, এখন আমাদের তা পেছনে ফেলে রেখে এগোতে হবে।’ দানিয়েলা মাচাদোর সঙ্গে প্রায় ১৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক কানসেলোর। ২০১৯ সালে জন্ম নেয় তাদের প্রথম কন্যাসন্তান। আরেকটি কন্যাসন্তানের অপেক্ষায় আছেন তারা।