তরিকুল ইসলাম, শার্শা
নাভারণ সিটি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার ফলে জীবন গেল এক নারীর। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে নারীর মত্যু হয়েছে তার নাম তাহেরা খাতুন (৫০)। বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের স্ত্রী তাহেরা খাতুন নাভারণ সাতক্ষীরা মোড় নাভারণ সিটি হসপিটাল গত ১৬ই এপ্রিল সকালে ভর্তি হয়। ১৭ই এপ্রিল রাত্র ১০টার সময় হাসপাতাল কর্তপক্ষ তাহেরা খাতুনকে ওটিতে নিয়ে যায়। ওটি পরিচালনা করেন ঐ ক্লিনিকের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সুজিত রায়, সহযোগি এ্যাসিস্টন ডাঃ আশরাফুল আলম ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরমান হাসান। দীর্ঘ সময় ব্রেষ্ট অপারেশন শেষে রোগী তাহেরা খাতেনের জ্ঞান ফিরেনি। এক পর্যায় ১৮ই এপ্রিল রাত্র ২টা ৩০ মিনিটের সময় যশার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হল ডাক্তার ৪টা ৩০ ঘটিকার সময় মৃত্যু ঘোষনা করেন। অভিযোগ প্রকাশ তাহেরার পুত্র শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘আমার মাকে নাভারণ সিটি হাসপাতালে ভর্তি করার পর হাসপাতালের এমডি আবুজুবায়ের রুমেল অপারেশন করার পূর্বে যা যা বলেছেন আমি সবই করেছি। তাদের গাফিলতির কারনেই আমার মায়ের মত্যু হয়েছে। প্রথম অবস্থায় অবনতি হলে নাভারনের অন্য একটি ক্লিনিক থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসে। তাতেও কোন কাজ হয়নি। আমার মায়র মত্যুর বিষয়টি সিভিল সার্জন এর মাধ্যমে সঠিক তদন্ত দাবি করছি।’ শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি চাই আমার মায়ের মৃত্যু যেভাবে হয়েছে আর কোন মায়ের যেন এভাবে মত্যু না হয়।’ নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়এলাকার একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ নাভারণ সিটি হসপিটালে জাতীয় একটা ঘটনা ঘটেছ। যে সব ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ‘বিশেষ পেশার’ একটি চক্রকে ম্যানেজ করে টাকার বিনিময়ে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের এমডি আবু জুবায়ের রুমেলের কাছে ঐ নারীর মত্যুর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

