প্রতিদিনের ডেস্ক
ডাটা সেবা থেকে আয়ের ওপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। গ্রাহকের বিচারে এ খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।রবি জানিয়েছে, নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে মোবাইল অপারেটরটি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এ উদ্যোগের কারণে রবির ৮১ শতাংশের বেশি ডাটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এ খাতে সর্বোচ্চ।সোমবার (২২ এপ্রিল) চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রবি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডাটা ব্যবহার করেন, যা এ খাতে সর্বোচ্চ।
এদিকে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডাটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
রবির আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপরও পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডাটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে শিগগির স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।