নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার বকচর হুশতলা কল্পতরু আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুভাষ দাসের ছেলে মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেনের বিরুদ্ধে মুসলিম পরিচয়ে এক নারীকে বিয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ওই তরুনী ঢাকার বাউফল থানার মকলেছ গাজীর মেয়ে ফারিয়া আক্তার বনানী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তপু ও বানানীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বনানী বিয়ের প্রস্তাব দিলে তপুর নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে সে মুসলিম হয়ে তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখায়। এতে করে বনানীর পরিবার ও তার স্বজনরা তাদের বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি প্রদান করে। এরপর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ৫ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন সোনারগাঁও থানার সোনাপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। কিছুদিন সংসার করার পর তপু বিভিন্ন অজুহাতে বনানীর কাছ থেকে টাকা নিতে থাকে। সে তাকে নগদ আড়াই লাখ দেয়। কিছুদিন পর সে তার স্ত্রীকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। বনানী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং তাকে ছেড়ে দেয়ার ধামকি দিতে থাকে। এসময় বনানী সন্তান সম্ভবার কথা বললে তপু ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে বিভিন্ন কৌশলে তার সন্তান নষ্ট করে দেয়। এরই মাঝে তপু ডাক্তার দেখানোর কথা বলে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসে এবং সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে তপুর পরিবার থেকে যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার সিমির দের মেয়ে পুষ্পিতা দের সাথে বিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বনানী যশোর এসে তপুর সাথে দেখা করে। তপু তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বের করে দেয় এবং হুমকি দেয় যশোরে থাকলে তাকে মেরে তার লাশ গুম করে দেবে। এ ঘটনায় বনানী যশোর কোতয়ালি থানায় তপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।