উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। ২৩শে এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষ সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলাম প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোট ১৮ জন প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। জামায়াত ও বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ফলে বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে- শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ (আনারস) প্রতীক , উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কৃষ্ণপদ মন্ডল (হেলিকপ্টার) প্রতীক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য গাজী গোলাম মোস্তফা (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে- বাংলাদেশ মাতুয়া মহাসঙ্ঘের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ও নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জি (টিয়া পাখি) প্রতীক, শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাগর চন্দ্র মন্ডল (চশমা) প্রতীক, সাবেক ছাত্রলীগনেতা শেখ নাজমুল হুদা রিপন (টিউবওয়েল) প্রতীক, শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল মামুন লিটন (মাইক) প্রতীক, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অসীম জোয়ারদারের ছেলে বিধান কুমার জোয়ারদার (বাপি) (উড়োজাহাজ) প্রতীক, সুকন্ঠ আউলিয়া (তালা চাবি) প্রতীক, মোঃ রেজাউল করিম (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রতীক ও মোঃ সিকান্দার আবু জাফর (বই) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি (হাঁস) প্রতীক ও উপজেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি প্রতিমা রানী হালদার (কলস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী ৮ই মে ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। প্রতীক পাওয়ার পর কর্মী সমর্থকরা প্রার্থীদের ছবি নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও বাঁশি বাজিয়ে উপজেলা বাসিকে জানান দেন। এতে পুরে উপজেলাতে নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোট উৎসবে পরিণত হয়।