সুন্দর সাহা
আমদািনকৃত আলু বন্দরে পচাঁনো হচ্ছে কার স্বার্থে? ২১ এপ্রিল রাতে আমদানি করা হলেও তিন দিনেও সিএন্ডএফ এজন্টের কাছে আলু ছাড় করানোর কাগজ পৌছেনি কেন? এসব প্রশ্ন ব্যবসায়ী-কাস্টম এবং বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বৃহত্তম এই স্থল বন্দরের সকলের মুখে মুখে ফিরছে। ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭০ টন আলু খালাস না করায় বেনাপোল বন্দরে পঁচতে শুরু করেছে। এসব আলু রংপুরের একটি বেভারেজ কোম্পানিতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি। অন্যদিকে দ্রুত খালাস না হলে এসব আলু খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, আমদানি করা এ আলু খোলা বাজারে বিক্রি হবে না। অবশ্য আলুর যে অবস্থা হয়েছে তাতে খোলা বাজারে এই আলু বিক্রিও হবে না। বন্দর সূত্র জানায়, ২১ এপ্রিল রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানি করা আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ছয় দিন লেগে যায়। বেনাপোল বন্দর থেকে তিনদিনেও আলু খালাস না হওয়ায় তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পচে রস পড়তে দেখা গেছে। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রংপুরের ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকের স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেডের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয় ভারত থেকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় এখনো বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেনি। কাগজপত্র এলেই খালাস করা হবে আমদানিকৃত এ আলু। বর্তমানে ভারতীয় ট্রাক থেকে এ আলু বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করে রাখা হয়েছে। আলুবাহী ট্রাকচালক শাহাদৎ হোসেন জানান, ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুরে নিয়ে যাবেন। কিন্তু খালাস না হওয়ায় গরমে বন্দরেই ট্রাকে আলু পচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে এগুলো আরও নষ্ট হবে। এসব নিয়ে বন্দর এলাকা জুড়ে চলছে নানা কথা ছড়াচ্ছে। যদি কোন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কেম্পানীর আমদানি করা হয়ে থাবক তাহলে সেটি আমদানি করার পর বন্দরে পঁচানো হচ্ছে কেন? ২১ এপ্রিল রাতে আমদানি করা হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিএন্ডএফ এজন্টের কাছে আলু ছাড় করানোর কাগজ পৌছেনি কেন? আর ছাড় করানোর কাগজ সিএন্ডএফ এজেন্টের কাছে না পৌছানোয় ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭০ টন আলু বেনাপোল বন্দরে পঁচতে শুরু করেছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনও বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।