প্রতিদিনের ডেস্ক:
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ মে। ১১টি পদের জন্য তিনটি প্যানেলে ভাগ হয়ে ৩৩ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই তিনটি প্যানেলের নাম ‘টিম স্মার্ট’, ‘ওয়ান টিম’ ও ‘টিম সাকসেস’। নির্বাচনে বিজয়ী হলে ২০৪১ সাল পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন (কর অব্যাহতি) আদায়ের জন্য লড়বে টিম সাকসেস।
‘টিম সাকসেস’ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। এই প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন, জেনারেল ক্যাটাগরিতে তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. শহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (অ্যাসোসিয়েট), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)। মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন (কর অব্যাহতি) আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।’এই প্যানেলের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা উল্লেখ করে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।’বেসিস নিয়ে নিজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমি সফট এক্সপোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাই। যেখানে নিশ্চিত থাকবে দেশি ও বিদেশি ক্রেতাদের উপস্থিতি। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে নির্দিষ্ট পলিসি ঠিক করা, লোকালি প্রডিউস সফটওয়্যারের মূল্য নির্ধারণ করা, নিয়মিত সফটওয়্যার ভিত্তিক সেমিনার ও বিটুবি ম্যাচ মেকিং প্রোগ্রাম করা।’নির্বাচনে বিজয়ী হলে বেসিস সংবিধানে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চান মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বর্তমানে ১১ জন নির্বাহী কমিটির সংখ্যাকে ২১ জনে রূপান্তর করা। এর মধ্যে আমরা ৪টি রিজার্ভ পদ রাখতে চাই; যেখানে ২টি পদ থাকবে সংরক্ষিত নারী উদ্যোক্তা সদস্যের জন্য এবং ২টি পদ থাকবে টেকনোক্র্যাট সদস্যের জন্য। আইটি কোম্পানির জন্য সহজ আর সুলভে ঋণ পাওয়ার কাজ করতে নীতিমালা পরিবর্তন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সর্বোপরি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্থিক প্রণোদনা বা সহায়তা পাওয়া নিয়ে আমরা টিম সাকসেস কাজ করবে। নীতিমালা প্রণয়ন করে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকগুলোতে সম্ভাবনাময় আইটি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ দেবার একটা সুযোগ রাখার অনুরোধ আর ব্যবস্থা দুটিই করতে সচেষ্ট থাকবো। আমাদের প্রস্তাবিত নীতিমালাতে ডিজিটাল ব্যাংকের মোট ঋণ প্রদানের একটা অংশ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা থাকবে।’