রুহুল আমনি, যবিপ্রবি
সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কতৃপক্ষ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার সাথে যবিপ্রবি থেকে অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্নপত্র প্রেরণ শুরু হয়। চতুর্থবারের মতো সমন্বিত এ ভর্তি পরীক্ষা দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ দেশের সর্বস্তরের নিরাপত্তা বাহিনী অনিয়ম রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। ২০২৩-২৪ সেশনের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহবায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ২৭ এপ্রিল গুচ্ছের এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এবার ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। শুধু পুলিশ বাহিনী নয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ দেশের সর্বস্তরের নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। গুজবের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে উপাচার্য বলেন, প্রশ্ন করা থেকে শুরু করে কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্ন পাঠানো, পরীক্ষা আয়োজন ও ফলাফল প্রদান সকল স্তরেই কঠোর নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতো নিরাপত্তা বেষ্টনীর পর প্রশ্ন ফাঁস ও প্রশ্ন নিয়ে কোন ধরণের সংশয়ের অবকাশ নেই। এরপরও কোন স্তর থেকে এতটুকুও চেষ্টা করা হলে সাথে সাথেই আমরা তা বুঝতে পারবো। তাই কোনো ধরণের গুজবে কান না দিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ জানাচ্ছি। সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান থাকায় বিনা প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে অভিভাবকদের আসতে তিনি নিরুৎসাহিত করেন। এরপরও কোনো অভিভাবক আসলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে আইইডিসিআর এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেন তিনি। উল্লেখ্য, এ বছর গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা (২৭ এপ্রিল শনিবার এ ইউনিট, ৩ মে শুক্রবার বি ইউনিট এবং ১০ মে শুক্রবার সি ইউনিট) সারাদেশের মধ্যে ২১টি কেন্দ্রে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন।