প্রতিদিনের ডেস্ক:
মসুর ডাল, সার এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা সংক্রান্ত আট ক্রয় প্রস্তাবের বিপরীতে ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৬ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে ৬১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মসুর ডাল, ৯৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৮৭৬ টাকার এলএনজি এবং ৯২৭ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার টাকার সার রয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এ তথ্য জানান।বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৬ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তা) ৬১ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নাবিল নাবা ফুডস প্রডাক্টস লিমিটেডের কাছে থেকে এ মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০২ টাকা ৯০ পয়সা।বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রত্যাশা অনুমোদন দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ এলএনজি আমদানিতে মোট খরচ হবে ৯৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৮৭৬ টাকা।এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪৬৯ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ১০.৮৬৩৭ মার্কিন ডলার। প্রতি এমএমবিটিইউ’র আগের ক্রয় মূল্য ছিল ৯.৪৯৬৫ মার্কিন ডলার।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির জন্য ৪৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য ধরা হয়েছে ১০.৭৩৩৭ মার্কিন ডলার। প্রতি এমএমবিটিইউর আগের ক্রয় মূল্য ছিল ৯.৬৮০০ মার্কিন ডলার।বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৫টি পৃথক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব এবং মরক্কো থেকে ৯২৭ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার টাকার সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চীন ও সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টন ডিএপি, মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করা হবে।জানা গেছে, সৌদি আরবের মা’আদেন-এর কাছ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রতিটনের দাম পড়বে ৫৫৪ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮১ মার্কিন ডলার।মরক্কোর ওসিপি এসএর কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১২৫ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটন সারের দাম পড়বে ৩৭৯.৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৮৬ মার্কিন ডলার।রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রডিন্টরগ’ এর কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার ৯৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলারএছাড়া দুটি পৃথক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে চীনের বেনিয়ান ইন্টারন্যাশনালট্রেডিলিমিটেডের কাছ থেকে মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রেক টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫২৬.২৫ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।