প্রতিদিনের ডেস্ক
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই দফায় সারা দেশে মোট ৮৯টি আসনে ভোট চলছে। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। রাজ্যটির রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দার্জিলিংয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। এ ছাড়া ভোট হচ্ছে আসাম, বিহার, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর ও মহারাষ্ট্রে। আসামের পাঁচটি আসন, বিহারের পাঁচটি আসন, ছত্তীসগঢ়ের তিনটি আসন, কর্নাটকের ১৪টি আসন, কেরালার ২০টি আসন, মধ্যপ্রদেশের সাতটি আসন, রাজস্থানের ১৩টি আসন, ত্রিপুরার একটি আসন, উত্তরপ্রদেশের আটটি আসন, মণিপুরের একটি আসন, জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসন ও মহারাষ্ট্রের আটটি আসনে ভোট হচ্ছে। মণিপুরে মোট দু’টি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর ও আউটার মণিপুর। নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দু’দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আউটার মণিপুরের একাংশে ভোট হয়েছে ১৯ তারিখ। বাকি অংশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। জানা গেছে, ভারতের ৮৯টি আসনে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন কেন্দ্রে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ জুন ভোটের গণনা ও ফলঘোষণা হবে। এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ঘোষিত শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। চাকরিহারাদের মধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থীও রয়েছেন। মামলার সঙ্গে জড়িত মূল মামলাকারীদের আইনজীবীদের বক্তব্য, হাইকোর্টে যোগ্যদের তালিকা জমা না দেওয়ার কারণেই তাদেরও চাকরি বাতিল করা হয়েছে। যদিও ওই দাবি অস্বীকার করেছে এসএসসি। এই অবস্থায় চাকরি বাতিল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। অন্য দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য সরকার। সেখানে এখনও মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়নি।