প্রতিদিনের ডেস্ক:
ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমে যাওয়ার সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষ কমই আছেন। শীতে তো আছেই গরমেও এ সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ওয়ান ডোর ফ্রিজের ডিপ ফ্রিজারে প্রায়ই বরফ জমে যায়। এর কিন্তু বিশেষ কয়েকটি কারণ আছে।সাধারণত ফ্রিজের পানি পরিষ্কার করে ফিল্টারটি ভেঙে যায় তবে ফ্রিজে হঠাৎ অতিরিক্ত বরফ তৈরি হতে শুরু করতে পারে। আপনি ফ্রিজে যা কিছু রাখেন সবই বরফে ঢাকা থাকে। সমাধান হল পানির ফিল্টার প্রতিস্থাপন করা। এবং যে স্থান দিতে ফ্রিজের পানি বের হয় সেই স্থানটি পরিষ্কার রাখা।যাদের বাড়িতে একটি দরজা বিশিষ্ট্য ফ্রিজ আছে তারা প্রায়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। দেখা যায় আপনি যতবারই ডিপ ফ্রিজার পরিষ্কার করুন না কেন, ফ্রিজারটি বরফের পাহাড়ের মতো ভরে যাবে।সাধারণত ফ্রিজের দরজা বা ফ্রিজ ডোরের গ্যাসকেট নষ্ট হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ এগুলো প্রভাবিত হওয়ার ফলে ফ্রিজে বাতাস ঢুকে যায় এবং এভাবে সঞ্চালিত হয়। তাই যদি দরজা বা গ্যাসকেট একটু ভেঙে যায় বা সেটি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সমাধান একটিই, গাসকেটটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে হবে।অনেক ক্ষেত্রে আবার ইভাপোরেটর কয়েল নষ্ট হলে এই সমস্যা হয়। এই কয়েল ফ্রিজ থেকে অতিরিক্ত পানি অপসারণের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে কয়েল নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে এই সমস্যা হয় না।ফ্রিজ দীর্ঘদিনের পুরোনো হলে বছরে অন্তত একবার মেরামত করান। কারণ তবেই এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। বাড়িতে সপ্তাহে একবার বা মাসে দুইবার ফ্রিজ পরিষ্কার করার অভ্যাস অনুসরণ করা ভালো।আপনার ফ্রিজটিতে যদি থার্মোস্টেট সঠিক তাপমাত্রায় না থাকে তবে তা অতিরিক্ত বরফ জমার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্তত ১৫ দিনে একবার ফ্রিজের থার্মোস্টেটটি পরীক্ষা করুন। যদি না থাকে তবে তা ইনস্টল করুন।ফ্রিজগুলোর যা ফ্রোস্ট টাইপ তাতে সাধারণ বরফ জমা স্বাভাবিক। কিন্তু ফ্রিজের অনেক সমস্যা অসতর্কতার কারণেই হয়। সর্বপ্রথম যে বিষয়টি তা হলো সঠিক স্থানে ফ্রিজ বসানো। কিচেনে যদি এক্সহস্ট সিস্টেম ভাল না থাকে তবে ফ্রিজটি যেন কিচেনে না রাখা হয়। দেয়াল থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব রেখে ফ্রিজের অবস্থান নির্বাচন করুন। এতে ফ্রিজের কম্প্রেসার সহজে ঠান্ডা হতে পারে।ফ্রিজে অতিরিক্ত চাপাচাপি করে জিনিসপত্র রাখবেন না। এছাড়া ফ্রিজ ব্যবহারের পর দরজা ভালোভাবে বন্ধ করেছেন কি না খেয়াল রাখুন। নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।