৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

বটিয়াঘাটায় অন্ত:স্বত্তা গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

তুরান হোসেন রানা, বটিয়াঘাটা
বটিয়াঘাটা উপজেলার তেতুলতলা গ্রামে যৌতুকের জন্য সামিনা খাতুন নামে ৮ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নির্যাতিত সামিনা খাতুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ঘটনার স্বীকার করেছে। সামিনার মা সেলিনা বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ১১মাস পূর্বে তেঁতুলতলা চক্রাখালী আশিকনগর এলাকার ফয়সাল (৩০) নামে যুবক আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে আমাদের বাড়ি আসতে দেয় না। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিগত কয়েক মাস থেকে ফয়সাল ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নির্যাতন করতে থাকে। ঈদের এক সপ্তাহ পরে ফোন দিয়ে আমার মেয়ে তাকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলে। মেয়ের ফোন পেয়ে আমার স্বামী বাকী বিল্লাহ ফয়সালের বাড়িতে গিয়ে বলে মেয়ের নামে ৫ লক্ষ টাকা ইন্সুরেন্স করা আছে। ইন্সুরেন্স এর টাকা তুলতে মেয়ের স্বাক্ষর লাগবে। মেয়েকে নিয়ে টাকা তুলে সেই টাকা তোমাকে দিবো। জামাইকে এই প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েকে তার বাবার সঙ্গে বাড়ি নিয়ে আসে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় ফয়সাল মোটরসাইকেল যোগে তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আমাদের বাড়ি এসে আমার স্বামীর কাছে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করে। এ সময় আমার স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফয়সাল এবং তার সঙ্গে থাকা সহযোগীরা আমার স্বামীকে মারধর করে মেয়েকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমার মেয়ে তার সঙ্গে যেতে না চাইলে ধস্তাধস্তি এবং মারধরের এক পর্যায়ে আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের সহায়তায় আমার মেয়েকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সে প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার খুলনা গেজেটকে বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য মেয়েটির বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সর্বশেষ শুক্রবার রাত ৯ টার পর ফয়সাল এবং তার কিছু সহযোগী অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলে সামিনার মা অভিযোগ করেছেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়