প্রতিদিনের ডেস্ক:
সচিবালয় ক্লিনিক থেকে দুই দিনে ৭ চিকিৎসক ও ৩০ কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের নির্দেশে এই বদলি হয়েছে বলে জানা গেছে।কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন ফার্মাসিস্ট, টেকনোলজিস্ট, সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও গাড়িচালক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বদলি করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লিনিকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির উদ্যোগ নিয়েছেন।তারা জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম নিয়মিত সচিবালয়ের ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের দুটো ওষুধ নেন। গত মঙ্গলবার সচিবের দপ্তরের একজন কর্মচারী এলে তাকে একটি ওষুধ দেওয়া হয়। এতে সচিব ক্ষুব্ধ হন। ওই দিনই সচিবালয় ক্লিনিকের এক চিকিৎসককে কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয়। পরদিন আরও ছয় চিকিৎসককে যথাক্রমে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও রংপুরের সরকারি হাসপাতালে বদলি করা হয়।গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ক্লিনিকে কর্মরতরা জড়ো হয়ে সচিবের সঙ্গে দেখা করে তাকে সরি বলতে যান। ওই সময় সচিব নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে সচিবালয় ত্যাগ করেন।
পরে সচিবালয় ক্লিনিকের সবাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে গণবদলির বিষয়ে জানতে চান তারা। এ সময় মন্ত্রী কিছুই জানেন না বলে জানান।এদিকে, চিকিৎসকদের বদলির সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত ক্ষোভের’ কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগেরসচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি স্বাস্থ্যের সচিব হয়েছি কয়েক মাস হলো। আর ওই ওষুধ খাচ্ছি অনেক বছর ধরে।তিনি আরও বলেন, সচিবালয় ক্লিনিকে অনেকে ১০-১২ বছর ধরে কাজ করছেন। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলেছি, দীর্ঘদিন যারা কাজ করছেন তাদের পর্যায়ক্রমে বদলি করতে।উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ অক্টোবর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব হিসেবে যোগ দেন জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে, তিনি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। বিসিএস ১১ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৯৩ সালে। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।