প্রতিদিনের ডেস্ক:
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের দুপক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে জেলগেটে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালত এই আদেশ দেন।মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আসামি মো. সাদ্দাম হোসেনের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। আদালত জেলগেটে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন। পাঁচদিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। সাদ্দাম হোসেনকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’এর আগে ২৪ এপ্রিল যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ চ্যানেল টোয়েন্টিফোর চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। ২১ এপ্রিল রাতে মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সেলিম।২১ এপ্রিল রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে পিছু হটে হামলাকারীরা। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয় সাংবাদিক সেলিমের।হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম। ওই রাতে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। তবে ২২ এপ্রিল বিকেলেই আদালত তাদের জামিন দেয়।