উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মুহাঃ আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণের অভিযোগে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এজাহার টি দাখিল করেন, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শান্তি রানীর স্বামী অশোক কুমার গায়েন। তিনি লিখিত এজাহারে শিক্ষক বৃন্দ জানান, নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান
অসৎ, হিংস্র প্রকৃতির ব্যক্তি ও সকল শিক্ষার্থি ও শিক্ষকদের সাথে রূঢ় ব্যবহার করে থাকেন। প্রধান শিক্ষক স্বয়ং সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানী (৪৫) কে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করার নিমিত্তে পাঁয়তারা করতে সময় ও সুযোগ খুঁজতে থাকে। সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানী তার পারিবারিক প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণের কাগজ পত্রে গত ২৮/০৪/২০২৪ তারিখ সকালে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন। তিনি কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করলেও প্রধান শিক্ষক কোন কাগজে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানান। কোন উপায় না পেয়ে সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানী স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের বাড়ীতে বিষয়টি আলাপ আলোচনা করলে তিনি
প্রধান শিক্ষককে মোবাইল ফোনে স্বাক্ষর করার কথা বললে স্বাক্ষর করবেন মর্মে আশ্বস্থ করেন। গত ২৯শে এপ্রিল সকাল অনুমান ০৯ টায় সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানী প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার ঋণের কাগজপত্রে নিয়ে স্বাক্ষর করতে রেগে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ হুমকি ধামকি দেন। সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানী কে প্রধান শিক্ষক বলতে থাকেন যা কিছু হয় এমপি’র কাছে যান এমপির বাবার কাছে যান নিজের কি যোগ্যতা আছে দেখান”? এরূপ ভাষা বলে তাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকে যা প্রতিষ্ঠান প্রধানের রুমে স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত আছে। সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানীর উপর বিভিন্ন সময় অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে সহকারি শিক্ষিকা শান্তি রানী কান্নাকাটি করতে করতে বের হয়ে কম্পিউটার রুমে চেয়ারে অসুস্থ অবস্থায় টেবিলে মাথা দিয়ে পড়ে থাকে। তাকে জ্ঞান হারা অবস্থায় তাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে ভ্যান যোগে চিকিৎসার জন্য দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রধান শিক্ষক ড. মুহাঃ আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ঋণের কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন এবং হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষিকার খোঁজ খবর নেন। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।