ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ৭ নম্বর হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (বরিশাল-খুলনা) মো. মনিরুজ্জামান।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই নেতার সঙ্গে ইউনিফর্মসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার থাকার বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তির নাম মনিরুজ্জামান। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (বরিশাল-খুলনা)। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর বড় ভাই। তাদের বাবা প্রয়াত শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশের পোশাক পরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখে অনেকেই হতবাক হন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। মুহূর্তেই এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমার ভাই আমার সঙ্গে ফরম জমা দেওয়ার সময় গিয়েছিল। তবে ফরম তো তার হাত দিয়ে দেওয়া হয়নি। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে বসেছিল, দাঁড়িয়ে ছিলেন। এতে তো কোনো সমস্যা দেখছি না। আমার ভাই আমার সঙ্গে যেতেই পারে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছি, অসুবিধা কোথায়? আমি তো আর ইলেকশন (নির্বাচন) করতে যাইনি।’সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কোনো দলের কার্যালয়ে গিয়ে ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আইনি কোনো বাধা আছে কি না, আমার জানা নেই।’
গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ-১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে এই আসন থেকে ২৫ জন দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।