নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার ২০ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে। ফেরত আসাদের মধ্যে ৬ জন নারী ও ১৪ জন শিশু রয়েছে। তারা হলেন- জেল খেটে ফেরত আসারা হলোঃ- খুলনা জেলার অনন্যা রায় (১৭) আছিয়া (২২) উর্মি আক্তার (১৮) গোপালগঞ্জ জেলার কামনা বিশ্বাস (১৬) প্রাপ্তি বিশ্বার (২৩) বৃষ্টি বারই (১৮) পুজা রায় (২১) বাগেরহাট জেলার নাদিরা শেখ (১৯) চাঁদপুর জেলার আবৃত্তি শীল (১৮) কেরানিগঞ্জ জেলার লামিয়া খাতুন (২০) জোস্না আক্তার (১৯) তৃষা আক্তার ঢাকা (২১) কাঁথা মন্ডল (২০) কুমিল্লা জেলার ফারজানা আক্তার ববি (২১) গাজিপুর জেলার তোমা রানি সুত্র ধর (৬৫) সাতক্ষীরা জেলার নাহিদ হাসান (২১) পিরোজপুর জেলার ওয়ালিদ খান (২৩) বরগুনা জেলার রাকিব হোসেন (২৩) শরিয়তপুর জেলার জগুনা বিবি (২৩)। এরা দেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা, পিরোজপুর, কেরানিগঞ্জ, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, গাজিপুর, বাগেরহাট ও চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফেরত আসা নারী ও শিশুরা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। এরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমের হেফাজতে ছিল। পরবর্তীতে এদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হলো। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে স্থানীয় এসি ল্যান্ড , উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট উদ্ধারকৃত এসব নারী- শিশুদের হস্তান্তর করেন। এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি, স্থানীয় এনজিও কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসা নারী ও শিশুদের পোর্ট থানার সোপর্দ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এসব নারী-শিশুদের আনা হয়েছে। ফিরে আসা নারী ও শিশুদেরকে ৩টি মানবাধিকার সংগঠনের হাতে তুলে দেয়া হবে। এসব মানবাধিকার সংগঠন তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।