সোহাগ আলী,কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অবৈধ ইজিবাইক। এতে প্রায় ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বেড়েই চলেছে। এসব অটো চালকদের জানা নেই ট্রাফিক নিয়ম কানুন,নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। যত্রতত্র তারা করছেন পার্কিং। এসব অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের কারণে বেড়েছে লোডশেডিং। যার দূর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারন মানুষের কালীগঞ্জ শহরে ইজিবাইক চার্জিং স্টেশন আছে অন্তত ২০টি। এসব স্টেশনে প্রতিদিন গড়ে ১৬০০ থেকে ১৮০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়। সবমিলিয়ে মাস শেষে প্রায় ৫০,০০০ থেকে ৫৫,০০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়। শুধু শহরেই না গ্রাম এলাকার বিভিন্ন বাজারে ও বাড়িতে ইজিবাইকের চার্জি দেওয়া হয়।অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চার্জিং স্টেশন গুলো বন্ধের বিষয়ে বিদ্যুত অফিসের কোন কর্মকর্তাই কাজ করে না বা তদারকি করেনা।এমনকি অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চার্জিং স্টেশন বন্ধ করতে পারেনি।
শহরের আয়তনের তুলনায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চলাচল বেশি হওয়ায় সৃষ্টি হয় যানজট। এসব অটো চলাচল করে বেপরোয়া গতিতে। ইজিবাইকের এমন দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষকে চলাচলের সময় পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। অনেক সময় দেখা মেলে, ১০/১২ বছরের কিশোরেরাও এসব অটো চালাচ্ছে। তাদের নেই কোনো প্রশিক্ষন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স। বোঝে না ট্রাফিক নিয়ম-কানুন। নেই গাড়ি চালানোর নূন্যতম দক্ষতা।স্থানীয়রা জানান,যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে কয়েকগুণ। এতে ঘটে দুর্ঘটনা,ব্যাহত হয় অন্য যানবাহন চলাচল। ইজিবাইকের জন্য শহরে নির্ধারিত কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। ইজিবাইকের এমন বেপরোয়া চলাচল আর দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে চান তাঁরা।একাধিক পথচাররাী বলেন, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক বেপরোয়া চলাচলের কারণে শহরের রাস্তায় ভোগান্তি হয়। ঠিকমতো চলাফেরাও করা যায় না। ইজিবাইক যাত্রীরা বলছেন,যারা ইজিবাইক চালান,তারা অধিকাংশ ট্রাফিক আইন ও ট্রাফিক সাইন বোঝেন না, আবার যেখানে-সেখানে যাত্রী দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়েন। এ সময় পেছনে থাকা যানবাহন ধাক্কা দেয়। এতে মাঝে মাঝে চরম দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ মানুষ।কালীগঞ্জ ও উপজেলার গ্রাম এলাকায় প্রতিটি সড়ক্ইে এসব অভেধ ইজিবাইক বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। অটোরিকশা গুলো একটা নিয়ম-নীতির মধ্যে আসলে শহরের যানজট কমবে। সেই সঙ্গে এটি চমৎকার শহরে রূপান্তরিত হবে।
সাধারন মানুষ ও ইজিবাইকে চলাচল করতে বেশি আগ্রহী কারন একটাই যে ভাড়া কম। ভাড়া কম হওয়ার কারনে মানুষ চড়তে বেশি আগ্রহী। যেহেতু গ্রাম এলাকায় যানবাহন চলাচল করে না সে কারনে গ্রামের মানুষ চলাচলে অনেকটাই তাদের সুবিধা বেশি।