প্রতিদিনের ডেস্ক
বাংলাদেশে প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও প্রায় ৯১ হাজারের মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন, যার মধ্যে বড় একটা অংশ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সিমিন হোসেন (রিমি)। তিনি বলেন, দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে যার মূল ভুক্তভোগী হবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগণ। তাই বাঁচতে হলে ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।শুক্রবার (৩ মে) শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ওরাল ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মূলত লিভার, স্তন, কোলন ও ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে অধিকাংশ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা জানেন না কিভাবে এই ক্যান্সার সংক্রমিত হয়। ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্যান্সার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, পান, জর্দা, গুল ইত্যাদির মাধ্যমে ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান। ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন।
সিমিন হোসেন বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। শুধু সরকারি অনুদানের মাধ্যমে দেশের সকল ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীর পাশে দাঁড়ানোর সম্ভব নয়। এই লক্ষ্যে দেশের বৃত্তশালী মানুষদের মানবিক হয়ে ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, মে মাস ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধের মাস। শান্তি ফাউন্ডেশনে ওরাল ক্যান্সার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর পারভীন শাহিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।