২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন ভোটে দাঁড়াবেন না হিরো আলম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না হিরো আলম। ব্যাকআপ না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর।শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম। এরআগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হিরো আলম বলেছিলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তখন তারা আমাকে বলেছেন, তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন, নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে আমি সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি।
এ সংবাদ প্রচার হওয়ার পরপরই জেলাজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। হাট-বাজার, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্তোরাঁয় পর্যন্ত হিরো আলমকে নিয়ে চলে তুমুল আলোচনা।
এরইমধ্যে শুক্রবার হিরো আলম উপ-নির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে আসবেন বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়টি নিয়েও চলে তুমুল আলোচনা। অনেককে সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হিরো আলমকে এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়, হিরো আলম আর আসেন না। ভক্তরা তাকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে বিকেলে থেকে হিরো আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। ফোন রিসিভ করে তিনি বলেন, ‌‘নির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরে চিন্তা-ভাবনা করে আর যাইনি।’
তিনি বলেন, ‘ভোট করা কোনো বিষয় না, যেকোনো জায়গা থেকেই ভোট করা যায়। ভোট করতে গেলে এলাকায় ব্যাকআপ লাগে। ব্যাকআপ ছাড়া ভোট করবো কীভাবে? সবাই তো খালি আমাকে ফোন দিয়ে আওয়ামী লীগের পরিচয় দেয় আর বলে, আমি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভাপতি, সেক্রেটারি, সভাপতি, চেয়ারম্যান, ওমক-তমক; দুনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফোন দিতে থাকে। আর তারা বলে, আসেন ভোট করেন, আমরা আছি। কিন্তু ভোট করতে হলে তো ব্যাকআপ লাগে। দুই একজন তো বলবে আসেন, এলাকায় ভোট করেন, যা লাগে আমরা দেখবো—এমন কাউকেই পাচ্ছি না।’
হিরো আলম বলেন, ‘ওখানে গিয়ে আমি কার ভরসায় ভোট করবো? আমার দায়িত্ব কে নেবে? আজ ঝিনাইদহ যাওয়ার কথা ছিল, সবকিছু ঠিকঠাকও হয়েছিল, কিন্তু অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দেখলাম, তেমন কোনো সাপোর্ট নেই। এজন্য ঝিনাইদহে যাওয়া ক্যানসেল করেছি।’
‘নির্বাচন একটা খেলা না, এলাকার শক্তিটাই সবচেয়ে বড় কথা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শৈলকুপা এলাকায় কখনো যাইনি। ওখানে চলাফেরাও নেই আমার। এলাকার তো কোনো কিছু চিনি না, জানিও না। এসব কথা চিন্তা-ভাবনা করেই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়