মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর
কোটচাঁদপুরের ( এন,বি,জে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রিজাইটিং কর্মকর্তা সহ ৯ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য প্রার্থীরা। গেল ২৯ এপ্রিল এ মামলা করেন তারা। নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়ম – কানুন আমার জানা নাই বললেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা( দায়িত্বপ্রাপ্ত) নাজমা সামাওয়াত। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী গেল ২৪ এপ্রিল ছিল কোটচাঁদপুরের নারায়ণপুর,বলরামপুর, জয়দিয়া(এনবিজে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। নির্বাচনে প্রিজাইটিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য প্রার্থী ইয়াদুল ইসলাম সহ অন্য সদস্যরাও। ওই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও এনবিজে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রিজাইটিং কর্মকর্তা অশোক কুমারকে। মামলার অন্য বিবাদিরা হলেন,ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিদর্শক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর, অভিভাবক সদস্য আব্দুল আলিম, আবুজার, আব্দুর রাজ্জাক, বাবলুর রহমান, নাজমিন খাতুন। ওই মামলায় প্রিজাইটিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর গ্রহন, নির্বাচনে দুই ধরনের সিল ব্যবহার, ভোটের পর ব্যালট পেপার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে না রেখে প্রিজাইটিং কর্মকর্তার কাছে রাখার অভিযোগ করেছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে এন বি জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, নির্বাচন এলে দুই পক্ষ গোলধঙযোগ করেন। এ কারনে ভোট শুরুর পর থেকে আমি আমার রুমে ছিলাম। কয় রকম সিল ব্যবহার করেছেন, সেটা প্রিজাইটিং অফিসার জানেন। ভোটের পরে ব্যালট পেপার কার কাছে থাকার কথা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার কাছে থাকার কথা। আমার কাছে আছে। সেটা এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ওই গুলো নিয়ে আমার মত করে অন্য জায়গায় নিরাপদে রেখেছি। কারন দুই পক্ষে মধ্যে গোলযোগ বাদলে, তারা এসে ওই সব ধরে টানা – টানি করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন সুষ্ট সুন্দর হয়েছে। যারা হেরে গেছেন,তারা তো প্রশ্ন তুলবেন এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের পর ব্যালট পেপার কার কাছে থাকার কথা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যালট প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকার কথা। তবে প্রধান শিক্ষক রাখতে ঝুঁকি মনে করায়, সেগুলো আমার কাছে রাখা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে, ব্যালট বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে দেয়া হবে। দুপুরে বেলা পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এ ব্যাপারে তিনি বলেন,ভোটের পর পোলিং এজেন্টরা স্বাক্ষর না করে চলে যান, এ কারনে তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া কাজ কমিয়ে রাখার স্বার্থে অনেক সময় স্বাক্ষর নেয়া হয়ে থাকে। আদালত মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আদালতে প্রতিপক্ষ মামলা করেছেন শুনেছি। তবে কাগজ পত্র এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, আদালতে তাঁর জবাব দেয়া হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) নাজমা সামাওয়াত বলেন,নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন আমার জানা নাই। আমি বিষয়গুলো জেনে রাখছি। আপনি আগামী কাল ফোন করলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।