প্রতিদিনের ডেস্ক
ইন্টার মিয়ামি করলো ৬ গোল। সবগুলোতেই ছোঁয়া ছিল লিওনেল মেসির। যার মধ্যে ৫টি অ্যাসিস্ট, একটি করলেন নিজে। ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল স্টেডিয়ামে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে ইন্টার মিয়ামি। ৬-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং। যেখানে হ্যাটট্রিক করেছেন লুইস সুয়ারেজ। মাত্র কয়েকদিন আগেই এপ্রিল মাসে এমএলএসের মাস সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। সে ধারাবাহিকতাই যেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে ধরে রাখলেন তিনি। নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে নিজেদের মাঠে পেয়ে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করলেন তিনি। ইন্টার মিয়ামির হয়ে লুইস সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক ছাড়াও জোড়া গোল করেছেন ম্যাতিয়াস রোজাস। মেসি করলেন একটি। নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের হয়ে গোল করেন দান্তে ভ্যানজেইর এবং এমিল ফরসবার্গ।
প্রথমার্ধে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিলো ইন্টার মিয়ামি। ৩০ মিনিটে দারুণ একটি সুসজ্জিত আক্রমণে গোল পেয়ে যান দান্তে ভ্যানজেইর। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ইন্টার মিয়ামি। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় মিয়ামির দ্বিতীয়ার্ধ ছিল যেন সম্পূর্ণ বিপরীত। শুরু থেকেই গোল উৎসবে মেতে ওঠে মেসির ক্লাব। ৪৮তম মিনিটে মেসির অ্যাসিস্ট থেকে প্রথম গোল করেন ম্যাতিয়াস রোজাস। এর দুই মিনিট পরই গোল করেন মেসি। সুয়ারেজের অ্যাসিস্ট থেকে বাম পায়ের দারুণ এক শটে রেড বুলসের জাল কাঁপান তিনি। ৬২তম মিনিটে মেসির অ্যাসিস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করেন ম্যাতিয়াস। এরপরের অংশ শুধু মেসি এবং সুয়ারেজের। মেসি গোল তৈরি করে দিয়েছেন, সুয়ারেজ সেই গোলে ফিনিশিং টাচ দিয়েছেন। ৬৮, ৭৫ এবং ৮১তম মিনিটে গোল তিনটি করেন সুয়ারেজ। ৯০+৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করেন এমিল ফরসবার্গ। এই জয়ে এমএলএসের ইস্টান কনফারেন্সে (৭-২-৩, ২৪ পয়েন্ট) শীর্ষে আছে ইন্টার মিয়ামি। সঙ্গে টানা ৬ ম্যাচ অপরাজিত রইলো মেসি অ্যান্ড কোং। মেসির এক সময়ের বার্সা সতীর্থ জর্দি আলবা এই ম্যাচেও খেলতে পারেনি। হ্যামস্ট্রিএং ইনজুরির কারণে টানা তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি।