প্রতিদিনের ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো কিছু গুগলে সার্চ করছেন। ব্যবহার করছেন গুগলের ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম। আপনি ফ্রিতে তো গুগল ব্যবহার করেন কিন্তু জানেন কি, গুগলের কীভাবে আয় হয়? গুগলের প্রতি মিনিটে আয় কত?বিশ্বের সবথেকে ধনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় প্রথমে রয়েছে গুগল। গুগল মূলত একটি বিজ্ঞাপন কোম্পানি এবং এর সবচেয়ে বড় পণ্য আপনি, অর্থাৎ ব্যবহারকারী। সংস্থাটি যুক্তরাজ্যের সার্চ মার্কেটের প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং গুগলের আয়ের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিজ্ঞাপন থেকে আসে। প্রতিদিন সাইটটি বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন সার্চ ফলাফল প্রদান করে এবং পাশাপাশি বিলিয়ন বিজ্ঞাপন পরিবেশন করে। সাফল্যের রহস্য হল এর অপারেশনের স্কেল।প্রধান পণ্য হলো এর ব্যবহারকারীদের বিশাল পুল এবং তারা অনলাইনে কীভাবে আচরণ করে সে সম্পর্কে বিস্তৃত ডাটা। এই ডাটা সম্ভাব্য গ্রাহকদের সঙ্গে কোম্পানিগুলোকে মেলাতে ব্যবহার করা হয়, এমন বিজ্ঞাপনগুলো পরিবেশন করা হয় যা ব্যবহারকারীরা ক্লিক করতে চায়। এই সব পরিষেবা দিয়েই প্রতি মিনিটে ২ কোটি টাকায় করে কোম্পানিটি।এছাড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে একাধিক পেইড সার্ভিস রয়েছে। যার জন্য ব্যবহারকারীদের জন্য টাকা চার্জ করে গুগল। যদিও যারা সেটি ব্যবহার করতে চান তারা এড়িয়ে যেতে পারেন (যেমন গুগল ওয়ান, গুগল জেমিনি ইত্যাদি)। এই পেইড সার্ভিস থেকে একটা মোটা টাকা আয় করে কোম্পানি।গুগলে সাধারণত কোনো কিছু জানার জন্য সার্চ করে থাকে ব্যবহারকারীরা। আর এই সার্চ করার সময় একাধিক আর্টিকেল এবং বিজ্ঞাপন আসে। সেই বিজ্ঞাপনগুলো দেখার জন্য সংস্থাগুলোর থেকে টাকা পায় গুগল। ইউটিউব, সার্চ এবং জি-মেইল থেকে আপনার অনলাইন অভ্যাস সবই আপনার আচরণের প্রোফাইলে ব্যবহৃত হয়। এর উপরে, গুগল তার অ্যানালিটিক্স এবং অ্যাডসেন্স কোডগুলোর মাধ্যমে আপনার সার্ফিং অভ্যাসগুলো অনুসরণ করে, অনুসন্ধানের বাইরে আপনার আগ্রহগুলো ট্র্যাক করতে ওয়েব পৃষ্ঠাগুলোতে এমবেড করে।গুগলের আয়ের অন্যতম মাধ্যম ইউটিউব, এই অ্যাপ সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডিফল্ট হিসেবে থাকে। তাই ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। ইউটিউবে ফ্রি এবং পেইড দুই পরিষেবা রয়েছে। পেইড পরিষেবাকে বলা হয় ইউটিউব প্রিমিয়াম। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট টাকা আয় করে সংস্থা।এছাড়াও গুগল ক্লাউড এবং প্রিমিয়াম কনটেন্ট রয়েছে যেখান থেকে টাকা উপার্জন করে সংস্থাটি। গুগল ক্লাউডের সুবিধা নেওয়ার জন্য অনেকেই মাস গেলে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন। এগুলোর পাশাপাশি ইউটিউব থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জন করে গুগল।