২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ঘাম ঝরানো জয়ে দুই ম্যাচ রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের

প্রতিদিনের ডেস্ক
আগের দুই টি-টোয়েন্টিতে হেসেখেলেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে এবার আর সহজ জয় নয়। শেষ পর্যন্ত লড়লো জিম্বাবুয়ে। যদিও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তারা। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে সফরকারীদের ৯ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে (৮ বলে ৯)। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। নিজেই ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ব্রায়ান বেনেটকে (৮ বলে ৫)। পরের ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে (৭ বলে ৭) বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৫ বলে ১) গ্লাভসবন্দী হন উইকেটরক্ষক জাকের আলীর। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ১১তম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে এনে চমক দেখান শান্ত। মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন ২৬ বলে ৩১ করা মারুমানিকে। ১৬ বলে ১১ করে তাসকিনকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন ক্লাইভ মাদান্দে। ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। জোনাথান ক্যাম্পবেল ফের লড়াই করার চেষ্টা করেন শেষদিকে নেমে। ১৪তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে। তবে আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন ক্যাম্পবেল। ডিপ মিউইকেট বাউন্ডারিতে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ১০ বলে ২১ করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৯১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে ছিল জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ফারাজ আকরাম আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার নবম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড জুটি। ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে মূলত ফারাজ আকরামই ম্যাচটা জমিয়ে তুলেন। মাসাকাদজা ১৪ বলে ১৩ করে আউট হন। কিন্তু শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেছেন আকরাম। ১৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে যান এই ব্যাটার। ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৪২ রান খরচ করেন সাইফউদ্দিন। রিশাদ হোসেন ২ উইকেট নিতে ৩ ওভারে দেন ৩৮। তানভীর ৪ ওভারে ২৬, তাসকিন ২১, তানজিম সাকিব ২৬ রানে নেন একটি করে উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ রানে নেন একটি উইকেট।এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রথমে তানজিদ তামিম-তাওহিদ হৃদয় জুটি, এরপর তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি অনিক জুটিতে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। হাফসেঞ্চুরি করেছেন তাওহিদ হৃদয়। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি। ৩টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন জাকের আলি অনিক। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত আউট হন লিটন দাস এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনই রয়েছেন দারুণ অফ-ফর্মে। বিশ্বকাপের আগে এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটারের অফ ফর্ম খুব দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টসহ ক্রিকেটপ্রেমী সবাইকে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামার পরও নিজেকে হারিয়ে যেন খুঁজছেন লিটন এবং শান্ত। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৩.৪ ওভারে (২২ বলে) ২২ রানের জুটি গড়েন লিটন। এরপরই ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বাংলাদেশের এই ওপেনার। ১৫ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১২ রান করেছেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত এসে জুটি বাধেন তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে। এই জুটিও খুব বেশিদূর এগুতে পারেনি। মাত্র ৬ রানের জুটি। দলীয় ২৯ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪ বলে ৬ রান করেন তিনি। তানজিদ তামিম আউট হন ২২ বলে ২১ রান করে। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ৯ রানে এবং রিশাদ হোসেন ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়