১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, তবুও দলের জন্য যথেষ্ট করতে পারিনি: এমবাপে

প্রতিদিনের ডেস্ক
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজিে) অন্তত একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উপহার দিতে চেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। স্বপ্ন দেখেছিলেন, নিজের স্বদেশি ক্লাবের নামে একটি ইউরোপীয় ফুটবলে একটি ইতিহাস লেখা হোক; হাতে শোভা পাক উজ্জ্বল শিরোপা। সেই স্বপ্নপূরণের শেষ সুযোগ ছিল এই মৌসুমেই। কারণ, গ্রীষ্ম মৌসুম শেষ হলেই পিএসজিকে বিদায় বলে দেবেন এমবাপে। সেই লক্ষ্যে নিজের চেষ্টায় কমতি রাখেননি এমবাপে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে প্রথম লেগে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর যে প্রত্যাশা ছিল এমবাপে ও কোচ লুইস এনরিকের। কিন্তু তা আর বাস্তব রূপে পিএসজির কাছে এসে ধরা দেয়নি। দ্বিতীয় লেগেও ডর্টমুন্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে পিএসজিকে। ম্যাচ শেষে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছেন এমবাপে। জানিয়েছেন, দলের জন্য সর্ব্স্ব দিয়ে খেলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি। যা করেছেন, আসলে তার যথেষ্ট ছিল না। এমবাপে বলেন, ‘নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যথেষ্ট করতে পারিনি। যখন প্রতিপক্ষ বক্সের ভেতরে কার্যকরী কিছু করার কথা উঠবে, তখন সবার লক্ষ্য আমার দিকেই আসবে। আমারইে গোল করা উচিত ছিল; আমি পারিনি। যখন সবকিছু ভালো থাকে, সব আলো আমার ওপরই থাকে, যখন দিন খারাপ যায় দায়টাও আপনার আপনাকে নিতে হবে। এটা কোনো সমস্যা নয়।’ এমবাপে আরও বলেন, যার প্রথমে গোল করা উচিত ছিল, সেটা হলাম আমি। এটিই আমাদের জীবন এবং আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে; সঙ্গে আমার দলকেও এগিয়ে রাখতে হবে। মঙ্গলবার নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে বলের ৭০ শতাংশ দখল নিজেদের কাছে রেখেছিল পিএসজি। গোলপোস্ট থেকে ফিরে এসেছে চারটি শট। এরপরও হার। এমন ফলাফল কতটা হতাশ করেছে এমবাপেকে, তা হয়তো একমাত্র তিনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। এমবাপে অবশ্য একে দূর্ভাগ্য বলেননি। বলেছেন, এটি আসলে যথেষ্ট ছিল না। এমবাপে বলেন, ‘জানি না, তারা (ডর্টমুন্ড) আমাদের চেয়ে ভালো ছিল কিনা। তাদের ছোট করে দেখার দরকার নেই। আমার মতে, বক্সে তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। তারা এক-দুবার বক্সে এসেছে, গোল করেছে। আমরা ওদের পাশে অনেকবারই গিয়েছি। তবে গোল করতে পারিনি। এটাই সত্য। দুর্ভাগা নাকি, সে বিষয়ে কথা বলতে আমি পছন্দ করি না। সবকিছু ভালো থাকলে পোস্টে লাগে না, গোল হয়ে যায়। আমরা আজ যথেষ্ট ছিলাম না। বিশেষ করে আক্রমণভাগে খেলা ফুটবলাররা।’ ৫০ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ হেড করে পিএসজির জালে বল জমা করেন ডর্টমুন্ডের ম্যাটস হুমেলস। শেষ পর্যন্ত আর সেই গোল শোধ করতে পারেনি পিএসজি। এতে ২০১৩ সালের পর প্রথম ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড। আগামী ১ জুন ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। ইউরোপসেরা ক্লাবের মুকুট পরতে ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হতে পারে তাদেরই দেশীয় ক্লাব বায়ার্ন। আর যদি আজ রাত ১টার ম্যাচে রিয়াল জয় পায়, তাহলে লা লিগার ক্লাব রিয়ালকেই ফাইনালে পাবে ডর্টমুন্ড।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়