প্রতিদিনের ডেস্ক:
প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ঘরে বসেই হাতে থাকা ফোনে সব খবর পাচ্ছেন, দূর-দুরান্তে যোগাযোগ করতে পারছেন। যে কোনো দেশের নাটক সিনেমা স্মার্টফোনেই দেখে নিতে পারছেন। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।সারাক্ষণ কোনো না কোনো সিরিজ, নাটক, সিনেমা বা গানে বিনোদন নিচ্ছেন ইউটিউবে। আবার অনেকে এই সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। তবে ইউটিউবে কত ভিউ হলে কত আয় হয়, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই। অনেক ভিডিওতে দেখবেন ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ থাকে। জানেন কি, ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?ইউটিউবে কন্টেন্ট পোস্ট করে ভালো অর্থ উপার্জন শুরু করতে চাইলে ভিডিও উপার্জন সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়। প্রথম দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। সেটাই জেনে নেওয়া যাক। ইউটিউবের ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত উপার্জন করা যাবে, তা প্রভাবিত করে এমন কিছু মূল কারণ নিম্নলিখিত অ্যাডভার্টাইজিং রেট প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন। সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন-ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।আরেকটি উপায় হচ্ছে, ক্লিক-থ্রু রেট বা সিটিআর। ভিডিওতে দর্শানো বিজ্ঞাপনগুলোর উপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। সিটিআর যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে। সিপিএম এবং সিটিআর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে সিপিএম এবং সিটিআর বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।ভিডিওর বিষয়বস্তুও এক্ষেত্রে অনেক বড় ব্যাপার। ফিনান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো কিছু বিষয়ের উচ্চতর সিপিএম এবং সিটিআর থাকে। যার ফলে আয়ও হয় বেশি। ভিডিওগুলো যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে উপার্জনও হয় বেশি।ভিউয়াররা যদি ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য হন, তাহলে তারা যে ভিডিওগুলো দেখেন, সেগুলো মানিটাইজ করা যেতে পারে। ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ কিন্তু অনেক প্রভাব ফেলে এক্ষেত্রে। নিজের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত করে অথবা স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করেও উপার্জন করা যেতে পারে।